কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুর্ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পর দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। সোমবার শেষ রাতে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোর ৪টা ২০মিনিটে বগি দুটি লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। ট্রেন চলাচলের জন্য লাইন পুরোপুরি প্রস্তুত হয় সকাল সাড়ে ছয়টায়। এরপর থেকে ডাউন এবং আপ উভয় লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটা এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আরও অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার পরে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিস, র্যাব সদস্য, রেলওয়ে ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধারকাজে যোগ দেন।
ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দিনগত রাতে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১৫ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ এই ১৫ জনের মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম শেষ করে।
হস্তান্তরকৃত মরদেহগুলো হলো-কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার রাধানগর এলাকার আবদুল মান্নান মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেন (২১), কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির, বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর এলাকার আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে আদির উদ্দিন, ভৈরব উপজেলার রানিবাজার এলাকার প্রবোদ চন্দ্র শীলের ছেলে সনুজ চন্দ্র শীল, একই উপজেলার শ্রীনগর এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া, কিশোরগঞ্জের চানপুর এলাকার চান মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া, মিটামইন উপজেলার হাবিবুর মিয়ার ছেলে মো. রাসেল মিয়া, কটিয়াদী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে গোলাপ মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বড়ইচড়া এলাকার সুরত আলী মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিন সরকার, ঢাকা জেলার দক্ষিণখান এলাকার আব্দুর রহমান মিয়ার ছেলে একেএম জালাল উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার তইছ উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো. সুজন মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার ভারপাড়া এলাকার জুনাইদ মিয়ার স্ত্রী জোসনা আক্তার (১৬), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার শিরু মিয়ার মেয়ে ফাতেমা, সুজন মিয়ার ছেলে সজিব ও ইসমাইল।
এ প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ইতোমধ্যে ১৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একজনের নাম পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। যার কারণে তার মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি একজনের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকেই তার পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন।