রাজশাহী ও ফেনীতে ৫ ভোটকেন্দ্রে আগুন

রাজশাহীতে চারটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজশাহীর বাঘা, বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে, বাগমারার ভোটকেন্দ্র থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, বাঘার একটি ভোটকেন্দ্রে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। অন্য তিনটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে।

ভোটকেন্দ্রগুলো হলো- বাঘা উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহনপুরের মতিহার উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয়।

মোহনপুরের মতিহার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান বলেন, আমাদের স্কুলটি ভোটকেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে আগুন দিয়েছে। এতে কয়েকটি বেঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ভোটকেন্দ্রের সামনে দুটি অবিস্ফোরিত তাজা ককটেল পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া, আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের অফিসে আগুন লেগেছে। এতে কিছু বই ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোন ভোটকেন্দ্রে কীভাবে আগুন লেগেছে সেটা তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের অফিস কক্ষে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে সোনাগাজী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষের একটি টেবিল ও একটি আলমারিতে থাকা কিছু কাগজপত্র পুড়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সোনাগাজী-দাগনভুঞা (সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার তাসলিম হুসাইন বলেন, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts