দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরুজা বারী। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। তাকে সহযোগিতা করতে আসেন মেয়ে প্রকৌশলী নাহিদ নিগার। কিন্তু জাপার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতার কারণে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন আফরুজা বারী।
আফরুজা বারী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও মেয়ে নাহিদ নিগার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ আসনে অংশ নেন। আসনটিতে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী দুইবারের এমপি। স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ নিগার ও শামীম হায়দার পাটোয়ারীর মধ্যে হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা। শামীম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙ্গল) পান ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট। ২২ হাজার ৫৫৮ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন নাহিদ নিগার।
জাপার একাধিক নেতাকর্মী জানায়, দলে (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ কাদের একেকবার একেক সিদ্ধান্ত নেন। ফলে নেতাকর্মীরা তার ওপর আস্থা রাখতে পারেন না। সে কারণ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটলো এ আসনে।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী নাহিদ নিগার বলেন, আমি সুন্দরগঞ্জের মানুষের কাছে চিরঋণী।
নাহিদ নিগার ঢাকার ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান। যুক্তরাজ্যে কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক এবং অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি আনন্দ গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ১০ প্রার্থী। এর মধ্যে জাসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বিএনএফ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিসহ দলীয় প্রার্থী ৬ জন। বাকি চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে আটজন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।