ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের ইব্রাহিমপুরে পালবাজারে দোকানঘরের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে দোকান মালিক শাহ আলম এবং সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল হেকিম-এর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হেকিম ও তার ভাই দলবল নিয়ে শাহরান ও শাহ আলমের দোকানে দেওয়া বাঁশের বেড়া উপড়ে ফেলে দেয়। এতে উভয় দলের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এবিষয়ে স্থানীয় আলমগীর, টুক্কু মিয়াসহ একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শাহ আলম-শাহরান-সুকানী বেগম সৌদি প্রবাসী শেখ সাদীর কাছে এ জায়গা বিক্রি করে। শেখ সাদী নামজারি করে এ জায়গা ভোগদখলে আসছিল,হঠাৎ করে হেকিম মেম্বার ও তার ভাই দলবলসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে বাঁশের বেড়া উপড়ে ফেলে দেয়, এতে ধাক্কাধাক্কি হয়।
এবিষয়ে জায়গার মালিক শাহ আলম, শাহরানের ছেলে কুতুবউদ্দিন, সুকানী বেগম জানান, আমরা আমাদের তিন শতক তিপ্পান্ন পয়েন্ট জায়গা ২০ লাখ টাকায় শেখ সাদীর নিকট বিক্রি করে দিয়েছি এবং দখল বুঝিয়ে দিতে মেপে বাঁশের বেড়া দিয়েছিলাম। হঠাৎ করে হেকিম মেম্বার ও তার ভাই আমাদের উপর হামলা করে দোকানের সামনে ভাঙচুর করে এবং বাঁশের বেড়া উপড়ে ফেলে দেয়। আমরা অসহায় মানুষ, সরকারের নিকট এর সঠিক বিচার চাই।
হামলা ও বাঁশের বেড়া উপড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য হেকিমের ভাই জানান, আমার শ্বশুর এই জায়গা ক্রয় করে দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল করা অবস্থায় তারা এই জায়গা অন্যত্রে বিক্রি করে দেয়, এতে তারা বাঁশের বেড়া দিলে আমরা তা উপড়ে ফেলে দেই।এই জায়গার মালিক আমরা এখন আমরা।
এবিষয়ে নবীনগর থানার ওসি তদন্ত সজল কান্তি দাশ জানান, বিয়টি নিয়ে কেউ অবগত করেননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ কোনো মামলাও দায়ের করেনি।
বুলবুল/এনবি