শাহ মতিন টিপু ll ২৩ জানুয়ারি ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি রাজ্জাকের জন্মদিন। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি অত্যন্ত প্রতাপের সঙ্গে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও উর্দু সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
বিশেষ এই দিনের কথা তার ভক্তরা মনে রাখলেও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে ছিল না কোনো আয়োজন। নায়ক রাজ রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন, ‘সত্যি বলতে কি দিন যত যাচ্ছে, যে কারো জন্মদিন নিয়ে উচ্ছ্বাসটা কমে যাচ্ছে। একটা সময় আব্বুর জন্মদিনে বড় পার্টি হতো। সেইসময়টা খুব উপভোগ করতাম। কিন্তু এখন তো আসলে বিশেষ দিন বলেই যে এমন নয়, আব্বুর জন্য সবসময়ই দোয়া করি। আব্বুর কবরের কাছে যাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করে শুধু এতোটুকুই বলি- আল্লাহ যেন আমার আব্বুকে বেহেস্ত নসীব করেন। আব্বু কোনোদিন কাউকে কোনো কষ্ট দিয়ে থাকলে যেন ক্ষমা করে দেন। সকলের কাছে শুধু দোয়া চাই। জন্মদিনে কেউ বিশেষ আয়োজন করলেন কী করলেন না এসব নিয়ে আমাদের সত্যিই কোনো ভাবনা নেই।’
তিনি ১৬টি সিনেমা পরিচালনা করেন। পাশাপাশি নিজের মালিকানাধীন রাজলক্ষী প্রোডাকশন হাউজ থেকে বেশ কয়েকটি সিনেমা প্রযোজনাও করেন। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তিনি সাতবার জিতেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০১৩ সালে পান আজীবন সম্মাননা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেয় স্বাধীনতা পুরস্কার।
২০১৭ সালের ২১ আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে রাজ্জাক ইন্তেকাল করেন। তার তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাট অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। আরেক ছেলে বাপ্পী দেশের বাইরেই স্থায়ী হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, বাবার জন্মদিন প্রসঙ্গে নায়ক রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন, সত্যি বলতে কী দিন যত যাচ্ছে যে কারও জন্মদিন নিয়ে উচ্ছ্বাসটা কমে যাচ্ছে। একটা সময় আব্বুর জন্মদিনে বড় পার্টি হতো। সেই সময়টা খুব উপভোগ করতাম। কিন্তু এখন তো আসলে বিশেষ দিন বলেই যে এমন তা নয়, আব্বুর জন্য সব সময়ই দোয়া করি। আব্বুর কবরের কাছে যাই, আজকেও যাব।
আল্লাহর কাছে দোয়া করে শুধু এতটুকুই বলবো, আল্লাহ যেন আমার আব্বুকে বেহেস্ত নসিব করেন। আব্বু কোনোদিন কাউকে কোনো কষ্ট দিয়ে থাকলে যেন ক্ষমা করে দেন। শুধু দোয়া চাই সকলের কাছে।
১৯৬৬ সালে ‘১৩নং ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমায় ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু হয়। তবে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নিজের অবস্থান গড়ে নেন। এরপর থেকে টানা কয়েক দশক প্রধান নায়ক হিসেবেই তিনি অভিনয় করে গেছেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে- ‘কাগজের নৌকা’, ‘রংবাজ’, ‘আমার জন্মভূমি’, ‘স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা’, ‘স্লোগান’, ‘ঝড়ের পাখি’, ‘স্বরলিপি’, ‘আলোর মিছিল’, ‘বেঈমান’, ‘আবির্ভাব’, ‘মনের মতো বউ’,‘ জীবন থেকে নেওয়া’,‘ দর্পচূর্ণ’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘নাচের পুতুল’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অবুঝ মন’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘আনার কলি’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘তওবা’, ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’, ‘সন্ধি’।