উপরে : শামছুন্নাহার, ফাতেমাতুজ্জহুরা, ফারহানা, শাপলা, নিচে: সুরভী, রবেতা ম্রং, নাসরিন ও নাজমুন নাহার
তারিকুল ইসলাম: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকেই সারাদেশের ন্যায় শেরপুরেও চলছে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কে হচ্ছেন এই হিসেব নিকেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী ১১টি সংসদে শেরপুর জেলা নারী এমপি পেয়েছে মাত্র একবার। বারবার শেরপুরের আসনগুলোর সাথে সংযুক্ত করে পাশের জেলায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এবার শেরপুরে আওয়ামী লীগ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে মোট ১৬ জন নারী আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীরা আওয়ামী লীগ এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নবীন-প্রবীণ নেত্রী ও সংগঠকও রয়েছেন।
মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের মধ্যে রয়েছেন- শেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামছুন্নাহার কামাল, সাধারণ সম্পাদক নাসরিন রহমান, দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি এডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী, শেরপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক ফারহানা পারভীন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক সাবিহা জামান শাপলা, শেরপুর সদর উপজেলার দূর্গানারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত পুলিশ কর্মকর্তা সেরনিয়াবাত আব্দুল ওয়াদুদের মেয়ে ও আনন্দ মোহন বিশ্বদ্যিালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সুরভী সেরনিয়াবাত, ভাতশালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমত আরা আছমা, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সভাপতি রবেতা ম্রং, পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সিতারা পারভীন, নকলা উপজেলার পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলছুম প্রমুখ।
শেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামছুন্নাহার কামাল বলেন, আমার হাত ধরেই শেরপুরে উৎপাদনশীল ও গণমুখী মহিলা আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়। মহিলা আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সংগঠিত করেছি। ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিরোধী নানা আন্দোলনে সবসময় রাজপথে অগ্রভাগে থেকে সাহসিকতার সাথে কাজ করেছি।
সুরভী সেরনিয়াবাত বলেন, দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরের বেশি অতিক্রম করলেও শেরপুরে নারী সংসদ সদস্য পেয়েছি মাত্র একবার। এবার এই খরা কাটবে বলে আমাদের বিশ্বাস। নেত্রী চাইলে আমি নারী উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পদে অনেকেই মনোনয়ন চেয়েছেন। তবে কতজন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এই তথ্য আমার কাছে নেই। তবে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।