কক্সবাজারে একের পর এক ভেসে আসছে মৃত তিমি, কচ্ছপ, পরপইস ও ডলফিন। এবার কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে ভেসে এলো ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের মৃত ইরাবতী ডলফিন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি এলাকা থেকে ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বিজ্ঞানীরা সন্ধ্যায় ডলফিনটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।
তিনি বলেন, বোরির বিজ্ঞানীরা এটি প্রাথমিকভাবে ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন বলে চিহ্নিত করেছেন। এটির মৃত্যুর কারণও খতিয়ে দেখা হবে। সৈকতের বালিয়াড়িতে ডলফিনটি মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ডলফিনটি অন্তত দুই সপ্তাহ আগে শরীরে রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মারা পড়েছে। ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটির ওজন ১০০ কেজি। এটির শরীর পচে বিকৃত হয়ে পড়েছে।
তরিকুল বলেন, উপকূলে ঘোরাঘুরির সময় ডলফিনটি জেলেদের জালের রশিতে আটকে শ্বাস নিতে পারেনি। এতেই ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি).কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি বিপন্ন স্তন্যপায়ী পরপইসের মৃতদেহ ভেসে এসেছে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে সৈকতের রেজুখালের মোহনায় একটি মা কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে আসে। বোরির হিসেবে এ নিয়ে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কক্সবাজার শহর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া সৈকতে অন্তত ২০টি মরা সামুদ্রিক কচ্ছপ ভেসে এসেছে ।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩০ মার্চ সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে একটি মরা ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিলো। এর আগে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ সংলগ্ন সৈকতে একই প্রজাতির মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ও ২০ মার্চ একই সৈকতে মরা ডলফিন ভেসে আসে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেও টেকনাফ সৈকতে দুটি মরা ডলফিন ভেসে এসেছিলো।
এছাড়া গত বছর ১৮ এপ্রিল রাতে কলাতলী সৈকতে একটি মরা তিমি ভেসে আসে। ২০২১ সালের ৯ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুইদিনে হিমছড়ি সৈকতে দুটি মরা তিমি ভেসে এসেছিলো।