২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ঢাকার বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ভোলার চারজন।
এরা হলেন নয়ন, জুনাইদ এবং একই পরিবারের দুই মেয়ে দোলা ও মাহী।
গতকাল ( ২ মার্চ) তাদের পরিবার, আত্মীয় স্বজন এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রের সাথে কথা বললে বের হয়ে আসে অনেক তথ্য। তাদের গ্রামের বাড়ি ভোলায় আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম।
নিহত নয়ন ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চর কুমারিয়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
নয়নের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কাজের সন্ধানে ঢাকা যায় নয়ন। ৩ দিন আগে চাকরিও পেয়েছে ঐ রেস্টুরেন্টে। তবে ভাগ্যের নির্মমতায় তাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। নয়নের মা নাজমা বেগম বলেন, ছেলে ফোনে জানিয়েছে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসবে। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হলো না। নয়নের পরিবার বলছে, ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে সংসারের আর্থিক কারণে আর পড়ালেখা হয়নি নয়নের। বাধ্য হয়েই ঢাকায় যায় কাজের টানে।
জুনাইদ ভোলা শহরের পৌর ৭ নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ি রোডের বাসিন্দা মাইনুল হক হারুন এর ছেলে। তিনি ঢাকার একটি ল’ কলেজের শিক্ষার্থী এবং পারিবারিকভাবে থাকতেন ঢাকাতে।
অগ্নিকান্ডে ভোলার দৌলতখানের একই পরিবারের আরো দুই জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কবির খান ও রাশিদা মুক্তা দম্পতির দুই কন্যা দোলা ও মাহি। দৌলতখানের গুপ্তগঞ্জ বাজার মেঘনার কবলে বিলীন হলে তারা ঢাকার মতিঝিলে এজিবি কলোনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন । শুক্রবার ঢাকায় তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দোলা ঢাকাতে আইএফআইসি ব্যাংকে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অফিস থেকে বাসায় ফিরে দোলা। বিকেলে দোলা, বান্ধবী স্মৃতি এবং ছোট বোন মাহি তিনজনে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাইতে আসেন।
আকস্মাৎ আগুন দেখে সবাই প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করেন। বান্ধবী স্মৃতি যে কোনো ভাবে বের হয়ে আসেন। কিন্তু দোলা আর মাহি কয়েক সেকেন্ড বিলম্বের কারণে বের হওয়ার ভাগ্যে জোটেনি। এমন সব তথ্য নিশ্চিত করেন বান্ধবী স্মৃতি।