মিডওয়াইফ হচ্ছে দক্ষ, প্রশিক্ষিত, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত মা ও নবজাতক শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী। একজন মা গর্ভধারণ পূর্ববর্তী পরিকল্পনা থেকে শুরু করে, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন এবং প্রসবপরবর্তী সময়ে মিডওয়াইফের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে, বাংলাদেশে ৭২৩০ জন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মিডওয়াইফ (বিএনএমসি রিপোর্ট ৩১ জুলাই -২০২৩ অনুযায়ী) রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২,৫৫৭ জন মিডওয়াইফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন সাব সেন্টারে কর্মরত।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব মানিক মিয়া অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতি আসমা খাতুন মিডওয়াইফদের নিয়ে উল্লেখিত তথ্য তুলে ধরেন।
আয়োজনের শুরুতে সংগীতা সাহা প্রেমা (সাধারণ সম্পাদক) বলেন, মা ও নবজাতক শিশুর মৃত্যুহার কমাতেই চিকিৎসা খাতে মিডওয়াইফদের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
বিএমএসএর সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দা মাহফুজা ঝুমু মিডওয়াইফদের উন্নয়নে তাদের শিক্ষার সুযোগ এবং কর্মপরিধি আরও প্রসারিত করবার জন্য নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবী যুক্তিসংগত বলে মনে করেন। প্রায় ৯ হাজার মিডওয়াইফ বিশেষায়িত শিক্ষা গ্রহণ করার পর, কম্পিটেন্ট হওয়ার পরও মিডওয়াইফরা বেকার হয়ে বসে আছেন, তারা প্রায় হতাশাগ্রস্থ। বেসরকারী পর্যায়ে মিডওয়াইফদের আরও বেশী করে কাজের সুযোগ করে দেয়া উচিত।
বিএমএস এর পক্ষ থেকে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত আকারে দাবী তুলে ধরা হয়েছে বলে সভায় বলা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে স্বনামধন্য রেডিও টেলিভিশন উপস্থাপক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এহতেশাম উপস্থিত হয়ে মিডওয়াইফদের কাজের প্রশংসা করেন এবং উৎসাহ দেন।
শারমিন শবনম জয়া, প্রজেক্ট ম্যানেজার, বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটির যাত্রা ও বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি প্রফেশনের উন্নয়নে কি ভূমিকা রাখতে পারে ও রেখেছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণী দেন।