শাহরিয়ার সোহেল
অন্ধকারাচ্ছন্ন দিনের শেষ ভাগ
প্রবল বর্ষণ অবিরাম
মৃত্যুদূত হাজির হয়েছেন চিরন্তন আকাঙ্ক্ষায়
যেতে হবে…
আপোষ নিরর্থক
ঘটনাটা ঘটবে প্রবল বর্ষণের সময়
নাকি কোন সড়ক দুর্ঘটনায়
নাকি পানিতে ডুবে
নাকি পেটের পীড়ায়
নাকি হৃদযন্ত্র বিকল
জন্ম একইভাবে অথচ মৃত্যুর হাজারও রূপ
একটি চিন্তন বুলেট মগজের ভেতর
চোখের ভেতর, বুকের ভেতর
ভেঙে চুরে বন্ধুর পথ সমান করে দেয়
দ্রুত ছুটতে থাকি
বিস্তীর্ণ পথ পরিক্রমা
দু’হাতের দশটি আঙুল ফেটে চৌচির
জীবন সুধা বের হতে থাকে প্রবল ঝর্ণার গতিতে
প্রতিটি চুলের ডগা অজস্রভাগে খণ্ডিত
উদাসীন তরল সমুদ্রে সইতে হবে যন্ত্রণা
কোন প্রশ্ন নেই
প্রশ্ন নিরর্থক
শুধু মেনে নিয়ে সন্তর্পণে আত্মসমর্পণ
ধোয়াশা আর জল ঘূর্ণ্যমান রহস্যের রেখা…