————————————————————–
যে ফালগুণ গুছিয়ে নেয়া যায়, ধুলোয়
————————————————————–
ব্রজঘুমে কেটে যায় তৃষ্ণার রাত। তুচ্ছ মনে হয়, দেহঘাম- কামের অঙ্গার।
প্রতীক হয়ে এসেছিল যে ফালগুণ,কোকিলের গানে গানে তার শরীর জুড়েও
ফুটে থাকে সলাজ কৃষ্ণচূড়া। আমি ভালোবাসি সাজাতে রঙের পসরা। তাই
ক্রমশ গুছিয়ে নিতে থাকি পরাগের উড়াউড়ি। ব্যক্তিগত বেদনার উল্লাস।
তারপর কাঠের আলনায় সাজিয়ে রাখি যাবতীয় কাচদৃশ্য। প্রজাপতিরা উড়বে,
সমাগত শালিখেরা, ধুলোধ্যানে কাটাবে দুপুর এমন নিশ্চয়তা খুঁজে আবারও
তাকাই ঋতুরাজ স্মৃতির মোহনায়। দেখি,তুমিও তাকিয়ে আছো দ্বৈত ঘুমচোখে।
প্রতীক হয়ে এসেছিল যে ফালগুণ,কোকিলের গানে গানে তার শরীর জুড়েও
ফুটে থাকে সলাজ কৃষ্ণচূড়া। আমি ভালোবাসি সাজাতে রঙের পসরা। তাই
ক্রমশ গুছিয়ে নিতে থাকি পরাগের উড়াউড়ি। ব্যক্তিগত বেদনার উল্লাস।
তারপর কাঠের আলনায় সাজিয়ে রাখি যাবতীয় কাচদৃশ্য। প্রজাপতিরা উড়বে,
সমাগত শালিখেরা, ধুলোধ্যানে কাটাবে দুপুর এমন নিশ্চয়তা খুঁজে আবারও
তাকাই ঋতুরাজ স্মৃতির মোহনায়। দেখি,তুমিও তাকিয়ে আছো দ্বৈত ঘুমচোখে।
——————————————————–
ভুলে যাওয়া যুদ্ধকৌশলগুলো
——————————————————–
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়,পাশাপাশি রাখি ক্লাউন ও করাত। স’মিলের দাঁত
দিয়ে কাটা কাঠখণ্ডের মতো ক্লাউন গুলোও হোক খণ্ড-বিখণ্ড। দন্ডপ্রাপ্ত বৃক্ষ
ও প্রশাখাগুলো আবার দেখুক মুক্তির আলো। নিভিয়ে দেয়া নিয়ন বাতিগুলো
আবার জ্বলে উঠুক। লেদ মেশিনেই নির্ণিত হোক লোহার ভাগ্য। লৌহমানব-
লৌহমানবীরা, সমাবায়ী হাত তুলে দখল নিতে থাকুক এই অনাবাদী ভূমির।
শিশুদেরকে পতিত জমিগল্প শোনাবো বলে আমরা যারা লিখতে বসেছিলাম,
থেমে যাক তাদের কলমও। কম তো লেখা হয় নি! কম হয় নি, গল্প বলাও।
এবার শুরু হোক মেঘের মিসাইল প্রক্ষেপণ। তা না হলে আমরা যে ক্রমশঃ
ভুলে যাবো যুদ্ধের কৌশল।
দিয়ে কাটা কাঠখণ্ডের মতো ক্লাউন গুলোও হোক খণ্ড-বিখণ্ড। দন্ডপ্রাপ্ত বৃক্ষ
ও প্রশাখাগুলো আবার দেখুক মুক্তির আলো। নিভিয়ে দেয়া নিয়ন বাতিগুলো
আবার জ্বলে উঠুক। লেদ মেশিনেই নির্ণিত হোক লোহার ভাগ্য। লৌহমানব-
লৌহমানবীরা, সমাবায়ী হাত তুলে দখল নিতে থাকুক এই অনাবাদী ভূমির।
শিশুদেরকে পতিত জমিগল্প শোনাবো বলে আমরা যারা লিখতে বসেছিলাম,
থেমে যাক তাদের কলমও। কম তো লেখা হয় নি! কম হয় নি, গল্প বলাও।
এবার শুরু হোক মেঘের মিসাইল প্রক্ষেপণ। তা না হলে আমরা যে ক্রমশঃ
ভুলে যাবো যুদ্ধের কৌশল।
——————————————————
এরপরই ঝড়, এরপরই নক্ষত্রবিলাপ
——————————————————
পাখিরা খুব আগ্রহ নিয়ে আমার হাতে তুলে দিয়েছিল তাদের পতাকা। পালকের
না না রঙের ছটা দেখে আমারও পাখি হতে ইচ্ছে করেছিল- সেকথা আমি খুব
আগ্রহ নিয়ে জানিয়েছিলাম বিজলী দেবীকে। এরপরই আমার জীবনে বর্ষার শুরু।
এরপরই ঝড়, এরপরই নক্ষত্রবিলাপ….। সবগুলো দুঃখ মুঠোয় পুরেই আমি ভাসতে
চেয়েছিলাম নিজের ওজনকে তুচ্ছ করে। সাগর আমার ওজন সইতে পারেনি। চাঁদ,
যে একসময় আমার অভিসারিণী ছিল, সে-ও তাড়িয়ে দিয়েছে তার শয্যা থেকে।
তারপর থেকেই ভ্রাম্যমাণ রোদকে সঙ্গী করে আমি লিখেছি অজস্র কবিতা। হয়নি
কিছুই। পারিনি শোধ করতে ঋণ। যে পাখিরা আমাকে পতাকা দিয়েছিল, আমি
পারিনি তাদের জন্য গড়ে দিতে একটি অভিন্ন মানচিত্র।
না না রঙের ছটা দেখে আমারও পাখি হতে ইচ্ছে করেছিল- সেকথা আমি খুব
আগ্রহ নিয়ে জানিয়েছিলাম বিজলী দেবীকে। এরপরই আমার জীবনে বর্ষার শুরু।
এরপরই ঝড়, এরপরই নক্ষত্রবিলাপ….। সবগুলো দুঃখ মুঠোয় পুরেই আমি ভাসতে
চেয়েছিলাম নিজের ওজনকে তুচ্ছ করে। সাগর আমার ওজন সইতে পারেনি। চাঁদ,
যে একসময় আমার অভিসারিণী ছিল, সে-ও তাড়িয়ে দিয়েছে তার শয্যা থেকে।
তারপর থেকেই ভ্রাম্যমাণ রোদকে সঙ্গী করে আমি লিখেছি অজস্র কবিতা। হয়নি
কিছুই। পারিনি শোধ করতে ঋণ। যে পাখিরা আমাকে পতাকা দিয়েছিল, আমি
পারিনি তাদের জন্য গড়ে দিতে একটি অভিন্ন মানচিত্র।
——————————————-
শিখে নেয়া জলযাদু
——————————————-
জাদুঘর থেকে যাদু শিখে বের হচ্ছে দিনের প্রথম রোদ। বুদ হয়ে পাশে পড়ে থাকা
সড়কগুলো দেখছে এইসব ঝিলিকের উত্থান। চকচকে মেঘের আকাশী রঙে যে আখ্যান
মিশে আছে, তা দেখে হেঁসেলে আগুন ফুকছে প্রৌঢ় কামার। শাবল কিংবা খুন্তি হাতে
যে শ্রমিক কর্মসন্ধানে বেরোবে- তার গায়েও যাদুমন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে দিচ্ছে নবপরিনীতা
স্ত্রী। আমি সেই যাদুবিদ্যা শেখার জন্য আবার হাত পাতছি প্রশাখার কাছে। আবার
পুরনো পুষ্প দিয়ে সাজাচ্ছি বাসর। যে স্মৃতিগুলো বহুকাল থেকে আর্কাইভে পড়ে আছে,
আমি তার সেলুলয়েডগুলোর দিকে তাকাতে তাকাতে নির্ধারণ করছি পরিণত বিরহের
নতুন নীতিমালা।
সড়কগুলো দেখছে এইসব ঝিলিকের উত্থান। চকচকে মেঘের আকাশী রঙে যে আখ্যান
মিশে আছে, তা দেখে হেঁসেলে আগুন ফুকছে প্রৌঢ় কামার। শাবল কিংবা খুন্তি হাতে
যে শ্রমিক কর্মসন্ধানে বেরোবে- তার গায়েও যাদুমন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে দিচ্ছে নবপরিনীতা
স্ত্রী। আমি সেই যাদুবিদ্যা শেখার জন্য আবার হাত পাতছি প্রশাখার কাছে। আবার
পুরনো পুষ্প দিয়ে সাজাচ্ছি বাসর। যে স্মৃতিগুলো বহুকাল থেকে আর্কাইভে পড়ে আছে,
আমি তার সেলুলয়েডগুলোর দিকে তাকাতে তাকাতে নির্ধারণ করছি পরিণত বিরহের
নতুন নীতিমালা।
——————————————————–
অস্ত্রহীন যুদ্ধের অস্তিত্ব
অস্ত্রহীন যুদ্ধের অস্তিত্ব
————————————–
বুলেট শেষ হয়ে গেলে সৈনিককে দেখাতে হয় বাহুর দক্ষতা।ক্যরাটে কসরত
করে নিতে হয় মাঠের দখল। যে যুদ্ধ অস্ত্র হাতে শুরু হয়েছিল- সেই মুক্ত
হাতের দশটি আঙুলই হয়ে উঠে সর্বশেষ মরণাস্ত্র। জামানত হারিয়ে তখন
বজ্রশিলার মতো বৈশাখও সৈনিকের পাশে দাঁড়িয়ে বলে-এগিয়ে যাও। বাঁচো,
ও বাঁচাও পুষ্পদেশ, মাটি ও মৈত্রীর নিশানা। যেখানে একদিন পরম গৌরবে,
দাঁড়িয়েছিলেন পূর্বপুরুষ, রক্ষা করো তাদের অস্তিত্ব।পাল্লা দাও এইসব ঢেউয়ের
সাথে। আমি এমন বুলেটহীন যুদ্ধের পাশ দিয়ে হেঁটেছি অনেকবার। রক্তাক্ত
না হয়েও জড়িয়ে ধরেছি সবুজ আচ্ছাদন।যুদ্ধবাজ পাথরগুলোকে কাদামাটির
বুক থেকে সরিয়ে দিতে দিতে তালাশ করেছি-‘এইচএমএস ভিক্টরি’ নামের সেই
যুদ্ধজাহাজটির।১৮০৫ সালে ট্রাফালগার যুদ্ধের যে জাহাজটি এখনও সাক্ষী হয়ে আছে।
করে নিতে হয় মাঠের দখল। যে যুদ্ধ অস্ত্র হাতে শুরু হয়েছিল- সেই মুক্ত
হাতের দশটি আঙুলই হয়ে উঠে সর্বশেষ মরণাস্ত্র। জামানত হারিয়ে তখন
বজ্রশিলার মতো বৈশাখও সৈনিকের পাশে দাঁড়িয়ে বলে-এগিয়ে যাও। বাঁচো,
ও বাঁচাও পুষ্পদেশ, মাটি ও মৈত্রীর নিশানা। যেখানে একদিন পরম গৌরবে,
দাঁড়িয়েছিলেন পূর্বপুরুষ, রক্ষা করো তাদের অস্তিত্ব।পাল্লা দাও এইসব ঢেউয়ের
সাথে। আমি এমন বুলেটহীন যুদ্ধের পাশ দিয়ে হেঁটেছি অনেকবার। রক্তাক্ত
না হয়েও জড়িয়ে ধরেছি সবুজ আচ্ছাদন।যুদ্ধবাজ পাথরগুলোকে কাদামাটির
বুক থেকে সরিয়ে দিতে দিতে তালাশ করেছি-‘এইচএমএস ভিক্টরি’ নামের সেই
যুদ্ধজাহাজটির।১৮০৫ সালে ট্রাফালগার যুদ্ধের যে জাহাজটি এখনও সাক্ষী হয়ে আছে।