বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ কবি শিউল মনজুর। ৫২ বসন্ত পেরিয়ে ৫৩ তে পা দেয়া এই কবির আজ শুভ জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে এই কবি, হযরত শাহজালালের পূণ্যভূমি, দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ সুরমানগরী সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন।
আট এর দশক থেকে দুইবাংলার শীর্ষস্থানীয় পত্র-পত্রিকায় তাঁর গল্প-কবিতা-ছড়া-প্রবন্ধসহ নানা বিষয়ের লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। বিভিন্ন মাসিক ও ত্রৈমাসিক সাহিত্য এবং লিটলম্যাগেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ লেখা ছাপা হয়। শিক্ষায় বিশ^বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী এই কবি প্রাথমিক পর্যায়ে সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাজীবন শুরু করেন।
পরবর্তীতে অধ্যাপনা পেশায় জড়িত হন। কিন্তু লেখালেখির মধ্যেই তিনি জীবন যাপনের সকল আনন্দ খোঁজে বেড়ান। যে কারণে এই কবি এখনো তুমুল তারুণ্যের গতি নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আজও গল্প কবিতা প্রবন্ধসহ নানা প্রকার লেখা উপহার দিয়ে পাঠকদের মায়াজালে আচ্ছন্ন করে রেখেছেন।
এ পর্যন্ত তাঁর ৮টি কবিতার বই (তিনফর্মা দীর্ঘশ্বাস, আমার প্রার্থনা, দূরের চিত্র কাছের চিত্র, সুরমা গাঙের বাসন্তি নাও, শোনো বীথি কানে কানে বলি, শাদা পাতা শাদা চোখ, পাতা শিশিরের অভিধান, সবুজ পাতার জংশনে) ২টি গল্পের বই (তোমার জন্যে মাধবী, কবি ও প্রেমিকা), ২টি ছড়ার বই (খেলাধুলা হইচই বেশি করে পড় বই, ফুলবালিকার রঙিনছাতা) এবং ১টি উপন্যাসের বই (প্রণয়ের মৌমাছি) প্রকাশিত হয়েছে।
অবিরাম কল্পনার রঙিন ক্যানভাসের ভেতর দিয়ে ব্যক্তিভাবনার রঙ মিশিয়ে কবিতা ও গল্পে স্বতন্ত্র মানস নির্মাণে সক্ষম শিউল মনজুর আজ আমাদের দূরের ও কাছের সাহিত্যাঙ্গনের একটি অনিবার্য নাম। বিশেষ করে তাঁর কবিতার ভেতর দিয়ে জেগে উঠেছে আমাদের গ্রাম বাংলার কুড়েঘরের উঠোন, কুড়েঘরের বৃক্ষছায়া, নদী সমুদ্র হাওর বাওরের পাখি, পাখি শিকারীদের গান। তাঁর কাব্যের অগ্রযাত্রায় আরো খুঁজে নিতে পারি বিশ^বাংলার সিম্পনি, সময় পাঠাতনের নিবিড়পাঠ। একেকটি অনবদ্য রচনার মধ্যদিয়েই বাঁক পেরিয়ে নতুন বাঁকের দিকে তিনি নিরন্তর অগ্রসরমান। গল্পের ভেতরও ছড়িয়ে আছে মুক্তিযদ্ধের রঙ, সমকালীন জীবনবোধ ও হৃদয় অনুভূতির অভিজ্ঞান।
এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তাঁর নবম কবিতার বই, পাখিতীর্থের আন্তঃনগর। চৈতন্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই বইটিও কবিতা প্রিয় পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
শিউল মনজুরের ৫২তম জন্মদিনে আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও সাফল্য কামনা করি।