বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ তামাক নিয়ন্ত্রণে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাজেট বরাদ্দ ও মোবাইল কোর্ট করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩০ মে গুলশান-২ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সভাকক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যু এবং রোগের অন্যতম প্রধান ও প্রতিরোধযোগ্য কারণ হল তামাকের ব্যবহার। টোব্যাকো এটলাস, ২০১৮ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে মারা যায় ১,৬১,২০০ জন। সারা বিশ্বে সমন্বিতভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০০৩ সালে Framework Convention on Tobacco Control (FCTC) চুক্তি অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশ এই চুক্তির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করে ও পরে ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত Gobal Adult Tobacco Survey (GATS) ২০১৭ অনুসারে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে ৪৩% মানুষ। এছাড়াও পাবলিক পরিবহনে (৪৪%), সরকারী প্রতিষ্ঠানে ও ভবনে (২১.৬%) এবং রেস্তোঁরায় (৪৯.৭%) পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে বিদ্যমান আইনে সকল পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন দীর্ঘদিন যাবত অন্যান্য সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের পাশাপশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার মধ্যে ধূমপানমুক্তকরণ নির্দেশিকা প্রনয়ণ অন্যতম। ধূমপানমুক্তকরণ নির্দেশিকা ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এবং মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: মোখলেছুর রহমান। সভাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো: ইমদাদুল হক। সভাটি আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তাবৃন্দ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অংশ নেয়।
তথ্যসূত্র : মো. ওয়ালী নোমান- মিডিয়া ম্যানেজার, স্বাস্থ্য সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন