ধনবাড়ীতে ভেঙে পড়লো বৈরান নদীর সেতু

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল এলাকাবাসীর। এ সুখ যেন তাদের কপালে সইলো না। এনিয়ে তারা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বাতাসেই ভেঙে গেলো আমাদের সেতুটি।

দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর পাইস্কা ইউনিয়নের ভাতকুড়া ও দরিচন্দ্রবাড়ী দক্ষিণ পাড়ার বৈরান নদীর উপর নির্মিত হয় সেতুটি। এলজিইডি ২০১৮ সালে এডিবির অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

সরেজমিনে শুক্রবার গিয়ে দেখা যায়, ভেঙে পড়া সেতুটি দেখতে কয়েক গ্রামের মানুষজন ভীড় করছে।

তারা জানান, সকাল ১০ টার দিকে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় ওই ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষজনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এলাকাবাসী জানান, নানা অনিয়নের মাধ্যমেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। স্থানীয় প্রভাবশালীরা সেতুটি নির্মাণ করায় অনিয়মের কথা বলার সাহস পায়নি কেউ। এছাড়াও সেতুটির নির্মাণের পরপরই সেতুর নিকট থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়। যার কারণে গত সোমবার সেতুটি মাঝখানে দেবে যায়। সেতুটির নিচের গার্ডার ও পাটাতনে ফাটল ধরে। নির্মাণের কিছুদিন পর থেকেই রেলিং ভাঙতে শুরু করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মিয়া, সাইফুল ইসলাম, তোতা মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০ টার সময় সেতুটির মাঝখানে ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। নানা অনিয়মের মাধ্যমেই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে তারা জানান।

তারা আরও জানান, ভেঙে যাওযার সময় মনে হলো সেতুটি বাতাসেই ভেঙে পড়লো। এখন পাড়াপাড়ের জন্য ২০ গ্রামের মানুষজনের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেলো। এতে করে আমাদের ভোগান্তির সীমা থাকবে না।

অপর বাসিন্দা মমতা বেগম, খাদিজা বেগম ও শাহিনা আক্তার বলেন, যারা সেতুটি নির্মাণ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সেতুর নিকট থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে সেতুটির এ দশা। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সামিউল হক জানান, ‘প্রশসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

 

Print Friendly

Related Posts