টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে গ্রেফতার বুয়েটের ২৬ ছাত্রসহ ৩২ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা করে মুচলেকা নেওয়া হয়।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারহান সাদিক পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে এসব শিক্ষার্থীদের জামিন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার আরও দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের জামিন আবেদন শিশু আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- বুয়েটের শিক্ষার্থী আফিফ আনোয়ার, বখতিয়ার নাফিস, মো. সাইখ সাদিক, ইসমাইল ইবনে আজাদ, সাব্বির আহম্মেদ, তাজিমুর রাফি, মো. সাদ আদনান, মো. শামীম আল রাজি, মো. আব্দুলাহ আল মুকিত, মো. জায়িম সরকার, হাইছাম বিন মাহবুব, মাহমুদুর হাসান, খালিদ আম্মার, মো. ফাহাদুল ইসলাম, তানভির আরাফাত, এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আনোয়ারুল সিদ্দিকী, আলী আম্মার মৌয়াজ, মো. রাশেদ রায়হান, সাকিব শাহরিয়ার, ফায়েজ উস সোয়াইব, আবদুর রাফি ও মাঈন উদ্দিন। অন্যরা হলেন, আবদুল বারি, মো. বাকি বিল্লাহ, মাহাদি হাসান, টি এম তানভির হোসেন, আশ্রাফ আলী, মো. মাহমুদ হাসান, মো. এহসানুল হক ও মো. আবদুল্লাহ মিয়া।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তৈয়বুর রহমান বাবুল গণমাধ্যমকে জানান, আসামিরা দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী। তারা হাওরে ঘুরতে এসেছিলেন। পুলিশ শুধু সন্দেহের বশে এতজন মেধাবী শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে পারে না। তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান, সবাই মেধাবী। এসব বিবেচনায় আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে, গত রোববার (৩০ জুলাই) সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটানো, জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধন ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে এসব শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরের দিন সোমবার পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার সবাই ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মী।
তবে টাঙ্গুয়ার হাওরে গিয়ে কেউ নাশকতার পরিকল্পনা করবে পুলিশের এমন অভিযোগকে হাস্যকর ও বানোয়াট বলে দাবি করেন বুয়েট শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শুধু শুধু হয়রানি করা হচ্ছে। অভিভাবকরা বলেন, আমাদের সন্তানদের অন্যায়ভাবে আটক করা, সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করে আমাদের সন্তানদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।