প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি। দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজকে আমি আনন্দিত যে, আমরা এ পর্যন্ত ৩৩৪ উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত করতে পেরেছি। ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ লাখ, ৫৫ হাজার ৪১৭টি পরিবারকে ঘর দিতে পেরেছি।
দেশের ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৯ আগস্ট) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীনদের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তিনটি গৃহনির্মাণ স্থল নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, পাবনার বেড়া এবং খুলনার তেরখাদা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৮১ সালে যখন দেশে ফিরি তখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। এমনকি বাড়িটি নিলামে তোলা হয়েছিল। ধৈর্য ধরেছি। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছি। সারা বাংলায় ঘুরছি। দেখেছি মানুষের কষ্ট।
দেশের একজন মানুষও অবহেলিত থাকবে না-বঙ্গবন্ধুর এ আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকার সবার জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এসব উপজেলার প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে দুই কাঠা করে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার, সেই অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জীবন জীবিকার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। কাজেই এসব জেলা-উপজেলাকে আমি আজ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উন্নত জেলা-উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করছি। জাতির পিতা এ দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। দেশে একটি মানুষও অবহেলিত থাকবে না-এটাই তার আকাঙ্ক্ষা ছিল, আমরা তার সেই আকাঙ্ক্ষাটাই পূরণ করছি।