ডরপ কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ডরপ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা হয়।

বুধবার (১৬ আগস্ট) আলোচনা সভায় প্রবীণ ও বর্তমান প্রজন্মের অংশগ্রহণকারীগণ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক-পারিবারিক জীবন, ত্যাগ-উপভোগ করে, কিভাবে একটি জাতিকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার দিকে নিলেন, জাতির পিতা হয়ে উঠেছেন এসব উঠে আসে এবং শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অংশগ্রহণ করেন ঝিনাইদহের গোপাল চন্দ্র প্রামাণিক (যুদ্ধকালীন নিজ জীবনে ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতা), গোপালগঞ্জের কানিজ ফাতেমা আফরোজা ও শৌল বৈরাগী, রাজশাহীর নূরুন নাহার চৌধুরী, টাঙ্গাইলের রুবিনা ইসলাম এবং সামছুন নাহার, চাঁদপুরের আইরিন সুলতানা, কুমিল্লার শেখ আহমেদ (মোনাজাত পরিচালনা করেন) প্রমুখ।

ডরপ’র উপ-পরিচালন মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান মুখ্য আলোচনায় বলেন, ‘তাঁর দর্শন ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায় ও দায়িত্ব। তাঁর জন্ম যেমন স্বার্থক, মৃত্যুও স্বার্থক এবং তিনি জান্নাতবাসী হোন।’ পরিচালক হায়দার আলী খান ১৯৪৭ থেকে অদ্যাবদি বিস্তারিত আলোচনা ও সকল বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

সভাপতি এএইচএম নোমান, যিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র লেখা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনক আমার নেতা আমার’ ও ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা আমার মা’ বই সমূহকে ‘একের ভেতর তিন’ শিরোণামে গবেষণামূলক বই লিখছেন।

জনাব নোমান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্মৃতিতে আর সাক্ষাতের কথা টেনে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শোষনহীন রাষ্ট্র গড়া। অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে অন্যতম কাজ হলো দারিদ্র্য বিমোচনে মাতৃত্বকালীন ভাতাকেন্দ্রিক ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ বাস্তবায়ন করা।

তিনি বলেন, যে মা পদ্মাসেতু করতে পারেন, সে মা স্বপ্ন মা-ও গড়তে পারেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে একজন সাহসী ও দূরদর্শী নেত্রী।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts