জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ এশিয়ার নোবেলখ্যাত র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২৩ সালে পদক বিজয়ী চারজনের একজন হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে এ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী মর্যাদাসম্পন্ন এ পুরস্কারটি বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে ফিলিপাইনের র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন। পুরস্কার পাওয়া অপর ব্যক্তিরা হলেন, ভারতের রবি কানন, ফিলিপাইনের মিরিয়াম কোরোনেল-ফেরের ও পূর্ব তিমুরের ইগুনিও লেমোস।
আগামী ১১ নভেম্বর ফিলিপাইনের ম্যানিলার মেট্রোপলিটন থিয়েটারে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হবে।
র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, করভী রাখসান্দ তাঁর ছয় বন্ধুকে নিয়ে জাগো ফাউন্ডেশন গঠন করেন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। খুব ছোট পরিসরে সূচনা করলেও বর্তমানে জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। জাগো ফাউন্ডেশন ১১টি স্কুল এবং অনলাইনের মাধ্যমে ১০ জেলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে সরকারস্বীকৃত ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষা দিয়ে থাকে।করভী রাখসান্দ ও তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় অবদানের জন্য তাঁকে এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন।
এশিয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারটি দেওয়া হয় যা জনসেবা থেকে সামাজিক উদ্ভাবন সবক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে। এর আগে মাদার তেরেসা, দালাই লামা, সত্যজিৎ রায়, ফজলে হাসান আবেদ প্রমুখ এই পুরষ্কার পেয়েছেন।
করভী রাখসান্দ ২০০৭ সালে জাগো ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে ফাউন্ডেশনটি একটি স্থানীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ফিলিপাইনের সপ্তম প্রেসিডেন্ট র্যামন ম্যাগসেসের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন’ এর বোর্ড অব ট্রাস্টিস এ পুরস্কারটি প্রদান করে থাকে।