বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ
যুবক অনার্য
শাফিকুর রাহী।কবি প্রাবন্ধিক গবেষক গীতিকার সাংস্কৃতিক সংগঠক বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় ঋদ্ধ রাজপথের সংগ্রামী সৈনিক।তার উত্থান আশির দশকে।এরশাদ বিরোধী আন্দলোন ও তৎপরবর্তী বিশ্বনন্দিত মানবতার মাতাখ্যাত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মানবিক আহবানে প্রগতিশীল রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনে রাহী ছিলেন সক্রিয় কণ্ঠস্বর।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি আজন্ম অনুরক্ত এই কবি দেশমাতৃকার জন্য রাজপথে ঘাতক ও দেশদ্রোহীদের কাছে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকবার। তবু দমে যাননি তিনি। শিল্পসাহিত্য ও সংস্কৃতি তার কাছে বেঁচে থাকবার সৌখিন উপকরণ নয় বরং প্রতিবাদ ও কল্যাণ রাষ্ট্র নির্মাণের মৌলিক হাতিয়ার।আর তাইতো তিনি লিখেছেন বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ভাষা আন্দোলন ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতা গদ্য ও গান। ছোটোদের জন্যেও তার কলম সমানভাবে পারঙ্গম। অনিবার্যভাবেই তার সমগ্র জীবন ব্যবচ্ছেদ করে পাওয়া যাবে সংগ্রাম প্রতিবাদ দহন আঘাত ঘাতপ্রতিঘাত- যা তাকে ইতোমধ্যে প্রেম দ্রোহ মানবতার কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে বললে অতিরঞ্জন হবেনা কিছুতেই।
কবি রাহীর আপনজন বলতে কেউ নেই জগৎ সংসারে; ভীষণ একাকীত্বে পড়ে আছেন অযত্নে অবহেলায়। এ দুঃসহ দুর্দিনে কে দাঁড়াবে তার পাশে!
আজকের এই শাফিকুর রাহী ভুঁইফোড় কিছু নন। একজন রাহী কখনো তৈরী হয়না রাতারাতি। রাহীর বেড়ে ওঠা ও হয়ে ওঠার পেছনে আছে দীর্ঘ বছরের নেপথ্য ইতিহাস যা লিখতে গেলে হয়তো একটি সম্পূর্ণ গ্রন্থ প্রণয়ন হতে পারে ।তাই সেদিকে আপাতত আলোকপাত না করে রাহীর বর্তমান যাপিত জীবন নিয়ে দু’চার কথা বলাই শ্রেয়তর মনে করি।প্রথমত রাহী তীব্র অসুস্থতায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে।অর্থের অভাবে পড়ে আছেন চিকিৎসাশূন্য দুর্বিষহ অবস্থায়।রাত্রি কাটান ফুটপাতে গাড়ির গ্যারেজে রেলস্টেশনে কখনো বা কারো গোডাউন-গুদাম ঘরে।কোভিড নাইন্টিন-এর সেই ভয়াবহ দুঃসময়ে তার স্বজন ও পরিজন আর্থিক অসহায়তার অজুহাতে রাহীকে অপমান করে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন।এরপরও বেঁচে আছেন স্বাধীন বাংলাদেশের একজন অসহায় কবি অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে।
সমগ্র জীবন শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ও দেশপ্রেমে নিজেকে যে মানুষ উৎসর্গ করেছেন, তার এমন মর্মান্তিক উপসংহার তবে কি চেয়ে চেয়ে শুধু দেখে যাবে এই সমাজ এই রাষ্ট্র আর সভ্যতা নামধারী চারপাশ!সভ্য কোনো দেশে হলে রাহীর মতন একজন খ্যাতিমান কবির এমন দুর্দশাগ্রস্থ ও লাঞ্চনাময় অবস্থা হতোনা কিছুতেই।
কবি শাফিকুর রাহীর আশু পুনর্বাসন কামনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুনয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অনতিবিলম্বে শিল্পসাহিত্য ও সংস্কৃতি বান্ধব সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শাফিকুর রাহীকে এহেন মানবেতর জীবনযাপন থেকে উদ্ধার করে তার যথাযথ পুনর্বাসনে মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা রইলো।
পরিশেষে শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য শাফিকুর রাহীর উল্লেখযোগ্য কিছু গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হলো:
প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় ৬০।
কবিতা: মুজিব মার্কস ম্যান্ডেলা, একটি মানবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি, রাত জাগা নক্ষত্রের কান্না, মায়াবী সুন্দরের শোকে, ঘাতক প্লাবনে রক্তাক্ত স্বদেশ, শোকার্ত মানচিত্র, আমি তোমাকে প্রেম দেবো, মধ্যরাতের কান্না, কবিতা সমগ্র-১, কবিতা সমগ্র-২।
প্রবন্ধ: সভ্যতার সোনালি সাঁকো, বঙ্গবন্ধু-দেশরত্ন ও অন্যান্য, মহৎপ্রাণ মনিষীর জীবন ও সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধু থেকে মানবতার জননী ও অন্যান্য।
সম্পাদিত আলোচিত গ্রন্থ: মহাকালের মহামানব: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতির পিতা: বঙ্গবন্ধুর অজানা স্মৃতি অজানা কথা, বিশ্বমানবতার স্বপ্নসারথি।
কিশোরকাব্যগ্রন্থ : মাগো আমি যুদ্ধে যাবো, ও আমার দেশের মাটি, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কিশোর কবিতা- মহাকাব্যের অমর কবি, বীর বাঙালির গর্বগাথা, পাখির গানে সুর্য জাগে, দাঁড়িয়ে পাহাড় দেয় পাহারা।
-যুবক অনার্য
প্রভাষক – ইংরেজি (ইংরেজি বিভাগ)
বঙ্গবন্ধু কলেজ : মেঘনা কুমিল্লা
মোবাইল: ০১৯৬৭৩৮৯২৬১
ইমেইল : jubakanarjo@gmail.com