চিকিৎসা বিজ্ঞানে  অবদানে অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম ফজলুল বারী’র গোল্ড মেডেল অর্জন

জ ই বুলবুল : গত ৩ অক্টোবর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে “ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া ১২তম গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড ২০২২” প্রদান করা হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম ফজলুল বারী। তিনি ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস – নিনমাস,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।  চিকিৎসাবিজ্ঞানে অসামান্য অবদান, গবেষণা ও কর্মদক্ষতার জন্য তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মো, সফিউর রহমান পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন যে, আমরা এবার একজন অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসককে সম্মানিত করতে পেরে আনন্দিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ক্যান্সার নির্ণয় ও তার লিখিত Ultrasound & Color Doppler in Medical Science বইটি মানবকল্যান ও চিকিৎসা বিজ্ঞান উন্নয়নে মাইলফলক।
উল্লেখ্য যে, অধ্যাপক ডা. এ.কে. এম ফজলুল বারী দেশ ও জনসাধারণের সেবার লক্ষ্যে “দি থাইরয়েড সেন্টার লি.” প্রতিষ্ঠা করেন। দি থাইরয়েড সেন্টার থাইরয়েড রোগ নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসা প্রদান ছাড়াও মানুষকে “থাইরয়েড মেলা” এর আয়োজন করে থাইরয়েড রোগ সম্পর্কে সচেতন করছে।
এছাড়াও তিনি Bangladesh Institute of Thyroid Medicine & Imaging Research – BITMIR এর প্রতিষ্ঠাতা। দেশ ও বিদেশের চিকিৎসকগণ এ কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে দেশে ও দেশের বাইরে সুনামের সাথে কাজ করে মানবসেবা করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে আধুনিক আল্ট্রাসাউন্ডের রূপকার অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম. ফজলুল বারী। তারই হাত ধরে বাংলাদেশে ক্যান্সার নির্ণয়ে ইলাস্টোস্ক্যান শুরু হয়। আল্ট্রাসাউন্ডের উপর দেশের প্রথম টেক্সটবুক “Ultrasound & Color Doppler in Medical Science” এর রচয়িতা তিনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে তার একাধিক গবেষণা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকা, জাপান, দঃ কোরিয়া, চীন, অস্ট্রলিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন সভা ও কর্মশালায় তিনি অংশগ্রহন করেন।
এছাড়াও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল, অনলাইন চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বিভিন্ন টক শোতে অংশগ্রহন করেন।
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts