শাহ মতিন টিপু
কবি শাকিল রিয়াজের জন্মদিন আজ। জন্ম ১৭ অক্টোবর ১৯৭০ নারায়ণগঞ্জে। গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। জন্ম। শৈশব-কৈশোর কেটেছে ফরিদপুরে। পড়ালেখা ফরিদপুর জেলা স্কুল, রাজেন্দ্র কলেজ, অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় এম এ।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ চারটি। একাকি পুরুষ একাকি রমণী, পোড়ে প্রেম পুরোটাই, মকর রাশির মেয়ে, নিজের ছায়াকে বৃষ্টিতে ভিজিয়ে মজা লুটি। প্রবন্ধগ্রন্থ-অন্যান্য এবং আত্মহত্যার স্বপক্ষে। কিশোর উপন্যাস- দ্বীপ বিভীষিকা। আমাজন থেকে প্রকাশিত ৩৭ বাঙালি কবির ইংরেজি কাব্য সংকলন ‘আন্ডার দ্য ব্লু রুফ’-এ ঠাঁই পেয়েছে তার কবিতা।শাকিল রিয়াজ ২০০৩ সাল থেকে সুইডেন প্রবাসী।
স্কুল-জীবনেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি। সাংবাদিকতায় দীক্ষাও স্কুল জীবনে। ফরিদপুর জেলা স্কুলে অধ্যয়নকালে জাতীয় পত্রপত্রিকায় লেখালেখি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হয় ফরিদপুরের স্থানীয় পত্রপত্রিকায়ও। ফরিদপুরে লিটলম্যাগ আন্দোলনের প্রথমদিকের কলাকুশলী। ঢাকায় এসে প্রথম কাজ করেন মাসিক নতুন ঢাকা ডাইজেস্টে। কবি ফজল শাহাবুদ্দীন সম্পাদিত নান্দনিক পত্রিকায় যোগ দেন সহকারী সম্পাদক হিসেবে। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠালগ্নের অন্যতম কুশলী। কাজ করেছেন ফিচার ও সম্পাদীয় বিভাগে বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে।
কবির ৫৪তম জন্মদিনে পাঠকের জন্য একটি কবিতা এখানে তুলে দেওয়া হলো-
শাকিল রিয়াজ-এর কবিতা
সতেরই অক্টোবর
জানালার কাঁচে তিনটি গোলাপ এঁকে
বৃষ্টির ছাট ফিরে গেছে ঘরের চালে
বৃষ্টির হয়ে নিজেকে বললাম, শুভকামনা
কেউ জানেনি।
দু‘টি ম্যাপল আর তিনটি ওকের পাতা
লালচে হলুদ গ্রিটিং কার্ডের ধরণে
দরোজার নিচ দিয়ে অর্ধেক ঢুকে পড়েছে
কেউ বোঝেনি।
একদল শুকনো পাতা হাওয়ার ঘুর্ণিতে চড়ে
যে পল্লব থেকে খসে পড়েছিল ভোরে
তারও অনেক উপরে গিয়ে নাচলো কিছুক্ষণ
কেউ দেখেনি।
ডাইনিং টেবিলে আধা-খেলা দাবার কোর্টে
একটি রাজা চেক হয়ে থাকার রুদ্ধশ্বাস থেকে
চোখ ফিরিয়ে এনে
একটি পরাজয়কে
অহেতুক ড্র করে রাখি
কেউ হারেনি।
ভালবাসা কথাটা খুব জ্বালায় বলে
বারান্দায় রেখে এসেছিলাম কাল
রাতের তুষারপাতে ভিজে ফুলে গেছে আজ
কেউ নেয়নি।
সেকেন্ড হ্যান্ড দোকান থেকে শুভেচ্ছা কিনে
মাপে মেলেনি বলে আবার ফেরত দিয়ে এলাম
আজ খোঁজ নিয়ে দেখলাম
কেউ কিনেনি।
ব্লুবেরি জেলি কেক, মাফিন, চিপস,
আইসক্রিম, ক্যান্ডেল আর একটি ফুঁ
ফেলে দিয়ে এলাম মোড়ের ডাস্টবিনে
কেউ আসেনি।
……………………………..
স্টকহোম, ১৭/১০/২০২৩