ব্রেস্ট ক্যান্সার একটি মরণব্যাধী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৭ হাজার নারী, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ১৯ জন মারা যাচ্ছেন প্রাণঘাতী ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণে। শুধুমাত্র সচেতনতাই পারে এই মৃত্যুহার অনেকটা কমিয়ে আনতে। প্রাথমিক পর্যায়ের সনাক্তকরণে এ রোগে সুস্থতার হার প্রায় ৯০%।
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অক্টোবর মাসটিকে ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করা হয়, যা ‘পিংক অক্টোবর’ হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়। মাসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও প্রতিকার নিশ্চিত করা।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ফ্রেশ টিস্যু বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা ও সনাক্তকরণে দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্রেস্ট ক্যান্সার-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভকারী নারী ও তাদের পাশে থাকা কেয়ার গিভার-দের যৌথভাবে বিশেষ সংবর্ধনা দেয় ফ্রেশ টিস্যু এবং ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন।
এই আয়োজনে সহযোগী হিসেবে ছিল বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি। অনুষ্ঠানে ব্রেস্ট ক্যান্সার-এর ভয়াল থাবা থেকে বেরিয়ে আসা নারীরা তাদের অদম্য মনোবল ও আত্মবিশ্বাসের গল্প সবার সাথে শেয়ার করেন। পাশাপাশি যারা এই মরণব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন, তাদেরকে ধৈর্য্য সহকারে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। সেই সাথে তাদের আশেপাশের আপনজনদের তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পাশে থাকার জন্য আবেদন জানান।
অনুষ্ঠানে এমজিআই ডিরেক্টর ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ডা. কাজী মুশতাক হোসেন, এমজিআই সিনিয়র জিএম (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন এবং জিএম (সেলস) মো. ইয়াছিন মোল্লাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ক্যান্সার-জয়ী নারীদের আপনজনেরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাজ থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সারের গ্লানি মোছার শপথে ফ্রেশ টিস্যু এবং ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর বিভিন্ন কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।