প্রোটিয়াদের সামনে রীতিমত বিধ্বস্ত হলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৪০০ রানের লক্ষ্যের জবাবে ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। শনিবার (২১ অক্টোবর) পেস বোলিংয়ের পশরা সাজিয়ে ২২৯ রানের জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। উল্টো নিজেদের ইতিহাসে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় পরাজয়ের রেকর্ড দেখলো তারা। প্রোটিয়া পেস তোপের সামনে প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। ইনিংসের শুরু থেকেই থাকে আসা যাওয়ার মাঝে থাকে ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে দশ নম্বরে নামা মার্ক উডের ব্যাট থেকে। ১৭ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কার এই ক্যামিও ইনিংস খেলে দর্শকদের বিনোদন দেন তিনি।
প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন গেরাল্ড কোজি। এছাড়া দুটি করে শিকার লুঙ্গি এনগিডি ও মার্কো ইয়ানসেনের। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কুইন্টন ডি কককে হারিয়ে ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
রিজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডুসেনের ফিফটির পর তাণ্ডব চালিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন হাইনরিখ ক্লাসেন। চলতি বছর দুর্দান্ত ফর্মে আছেন ক্লাসেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চার সেঞ্চুরির মধ্যে তিনটিই করেছেন এই বছর। সেঞ্চুরি তুলে নেন ৬১ বলে। শেষ পর্যন্ত ৬৭ বলে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৯ রানের ইনিংস খেলে থামেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার আগে ষষ্ঠ উইকেটে মার্কো ইয়ানসেনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১৫১ রানের জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যা সর্বোচ্চ।
ক্লাসেনের মতোই সমান তালে ব্যাট চালান ইয়ানসেনও। ৩৫ বলে প্রথম ফিফটি তুলে নেন এই অলরাউন্ডার। অপরাজিত ৭৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ৪২ বল খেলে তিনটি চার ও ছয়টি ছক্কা মারেন তিনি।
এর আগের অবশ্য প্রোটিয়াদের ইনিংস মেরামতের কাজটি করেন ডুসেন ও হেনড্রিকস। অসুস্থতার কারণে আজ খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তার পরিবর্তে জায়গা পেয়ে সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন হেনড্রিকস। ৭৫ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৫ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন ডুসেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৬১ বলে ৬০ রান। চারে নেমে অধিনায়ক এইডেন মারক্রামও খেলেন ৪২ বলে ৪৪ রানের কার্যকরী ইনিংস। যার ফলে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন রিস টপলি। দুটি করে শিকার আদিল রশিদ ও গাস অ্যাটকিনসনের। বোলারদের মতো পরে দুঃস্বপ্নের দিন কেটেছে ইংলিশ বোলারদেরও।