বিশ্বকাপ শেষে টাইগারদের কোচিং প্যানেলে কে থাকছেন?

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় কোচিং বহর নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের খেলা পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে লাল-সবুজেরা। এরপর থেকে সাকিব বাহিনীর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে।

এদিকে গণমাধ্যমে গুঞ্জন, বিশ্বকাপ শেষেই পরিবর্তন আসতে পারে টাইগারদের কোচিং প্যানেলে। কেননা, প্রতিটি বিশ্বকাপ শেষেই কিছু না কিছু পরিবর্তন আসে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে। আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর শেষেই প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও সহকারী কোচ নিক পোথাস ছাড়া বাকিদের ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা জানান, পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড, স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ, ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডারমট ও ট্রেনার নিকোলাস লি, ভিডিও অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরনের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিসিবির সঙ্গে এ বছরের ৩০ নভেম্বর তাদের চুক্তি শেষ হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে এখন সাতজন বিদেশি কোচ কাজ করেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস। ২০১৮ সাল থেকে সাকিবদের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। তার সঙ্গে তিনবার চাকরি নবায়ন করেছে বিসিবি। বাংলাদেশের পাশাপাশি আইপিএলেও কাজ করেন তিনি। তবে সম্প্রতি ক্রিকেটারদের ‘গুডবুক’ থেকে তার সরে যাওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। তাই তাকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে বোর্ডে আগ্রহ কম।

এদিকে হাথুরুসিংহের অপছন্দের তালিকায় শীর্ষে পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ড। অভিযোগ রয়েছে, বোলারদের তেমন উন্নতি করতে পারছেন না তিনি।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানান, ডোনাল্ড মেন্টর হিসেবে ভালো, কোচ নন। তিনি বোলারদের হাতে-কলমে কিছুই শেখাতে পারেননি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পেস বোলারদের টিপস দেন।

অন্যদিকে ২০২৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। আর দুই বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন সহকারী কোচ নিক পোথাস। তবে তাকে নিয়ে কোনো আপত্তি নেই হাথুরুর।

বিসিবি সূত্রে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওই গণমাধ্যম বলছে, বিশ্বকাপ শুরুর পর চুক্তি নবায়নের বিষয়ে কোচরা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ও সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন।

অন্যদিকে ধর্মশালায় ম্যাচ শেষেই ডোনাল্ডদের জানিয়ে দেওয়া হয়, চুক্তি নবায়নে আগ্রহী না বোর্ড! তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি জালাল ইউনুস। এমনকি খালেদ মাহমুদ সুজনও এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি তিনি।

জালাল ইউনুসের ভাষ্য, বিষয়টি খুবই অফিসিয়াল, মন্তব্য করা যাবে না।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts