ট্রেনের জন্য কক্সবাজারবাসীর অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) থেকে বাণিজ্যিকভাবে চালু হচ্ছে ট্রেন। এতে করে দেশের রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে পর্যটনশহর কক্সবাজার।
শুক্রবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে আইকনিক রেল স্টেশন থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০ জন যাত্রী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। ইতোমধ্যে যাত্রার সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী।
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে থেকে অনলাইন ও অফলাইনে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এখন শুধু ৯ ডিসেম্বরের পরের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ২০ বগিতে আসন সংখ্যা ৭৮০টি। প্রায় ১ হাজার যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা করবে। চাহিদা বাড়লে বগিও বাড়ানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৯টি স্টেশন রয়েছে। সবখানে জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ননস্টপ যাত্রা করবে। শুধু মাত্র চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যাত্রা বিরতি করবে।’
কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে নামলে যাত্রীরা তারকা মানের হোটেল, অত্যাধুনিক শপিং মলে কেনাকাটাসহ পাবেন নানা সুযোগ সুবিধা। তবে এখনো শতভাগ কাজ শেষ হয়নি। পুরোদমে স্টেশনের সেবা পেতে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে যাত্রীদের।
প্রথম ট্রেনের টিকিট পেয়ে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। ঢাকার টিকিট করা যাত্রী মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে প্রথম এই যাত্রা ইতিহাস হয়ে থাকবে। তাই আগে থেকে টিকিট বুকিং করে রাখছি।’
সাইদুল ইসলাম ফরহাদ নামের একজন টিকিট হাতে ‘সোনার হরিণ হাতে’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেন।
আরো বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা অনেক কষ্ট করে টিকিট পেয়েছেন। সমুদ্রশহর কক্সবাজার থেকে স্বপ্নের ট্রেন যাত্রা করবে। এ নিয়ে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন তারা।’
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রামে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে এবং ঢাকায় পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। পর্যটন শহর থেকে রাজধানী ঢাকা যেতে সময় লাগবে ৮ ঘন্টা ১০ মিনিট। কক্সবাজার থেকে ঢাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা।
গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার-দোহাজারি রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।