আতশবাজি আর ফানুসে ২০২৪ বরণ

তারেকুর রহমান: ২০২৩ কে বিদায় জানিয়ে ২০২৪ সালকে বরণ করতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত মাতিয়েছেন হাজারো উৎসুক জনতা। বছরের শেষ দিনটিতে তারা ভালো-মন্দ আর আনন্দ-বেদনার স্মৃতিগুলো আরও একবার রোমন্থন করতে ভিড় জমান সমুদ্রপাড়ে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১২টা বাজার আগে থেকেই সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকসহ স্থানীয়রা আতশবাজি আর ফানুস হাতে ভিড় করতে থাকেন। যেন, ফানুসের আগুন আর আতশবাজির স্ফুলিঙ্গে জীবনের সব ধরনের নেতিবাচক বিষয়গুলো পুড়িয়ে দিতে এসেছেন তারা।

দেখা যায়, ২০২৩ এর শেষ রাতে সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে আতশবাজি আর ফানুসের আলোতে ছেয়ে গেছে পুরো সৈকত। যদিও প্রশাসন থেকে বিধিনিষেধ ছিলো যে, এভাবে উন্মুক্তভাবে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা যাবে না।

চট্টগ্রাম থেকে পরিবার নিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে কক্সবাজারে আসেন মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াই। বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকি। কিন্তু কক্সবাজারে যে এতো সুন্দর করে পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে তা অনন্য। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী ফানুস তোলার ব্যাপারটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে।’

ঢাকা থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কক্সবাজার আসেন শিক্ষার্থী তাসনুভা। তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগে কক্সবাজার এসেছি। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল থার্টি ফার্স্ট নাইট কক্সবাজারে উদযাপন করবো। তাই বাবা-মায়ের সঙ্গে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে ছুটে এলাম। পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে সমুদ্রসৈকত থেকে বরণ করছি, এটা আমার কাছে খুবই ডিফরেন্ট এবং স্পেশাল মনে হচ্ছে।’

ঢাকা থেকে আসা রুমেল খান বলেন, ‘সৈকতে আতশবাজি আর ফানুস উড়ানোর ব্যাপারটা অন্যরকম লাগছে। এখানে না এলে বুঝা যেতো না কক্সবাজারে কত সুন্দর করে বর্ষবরণ হয়। স্ত্রীসহ সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এসে মজা করছি। খুবই ভালো লাগছে।’

এদিকে বর্ষবরণে সৈকতে জুড়ো হওয়া পর্যটক ও দর্শণার্থীদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার দেখা গেছে। প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে জেলা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের টিম পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করতে দেখা যায়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আপেল মাহমুদ বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে সৈকতে বিশেষ কিছুর আয়োজনে বিধিনিষেধ থাকলেও ভ্রমণ বা সমুদ্রসৈকত দর্শনে কোনো নিষেধ ছিলো না। ২০২৩ সালের শেষ রাতে হাজারো পর্যটক এসেছেন সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। তারা সমুদ্রসৈকত উপভোগ করেছেন। তাদের নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম।’

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts