২০ জেলায় কনকনে ঠাণ্ডা

আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন প্রায় স্থবির। ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাঁপছে নীলফামারী। গত তিন দিন সেখানে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি। অন্তত ২০টির বেশি জেলায় জেঁকে বসেছে শীতের দাপট। এই জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।

ঘন কুয়াশার চাদর দেশময় বিস্তৃত হওয়ায় ভোররাতে বিমান ও নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দৃষ্টিসীমা হরণ করছে কুয়াশাচ্ছন্ন আবরণ। গতকাল ভারী কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাড়ে আট ঘণ্টা ওঠানামা বন্ধ ছিল। এতে শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়। নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা ফ্লাইটে চড়তে পারেননি। শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল পাঁচ ঘণ্টা।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, জানুয়ারি দেশের শীতলতম মাস হওয়ায় শীতকালের চরিত্র মেনেই ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি মাসে শীতের অনুভূতি বাড়বে। আবহাওয়ার বিশেষ ধরন এল নিনোর প্রভাবে এই মাসেও শীত স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের তাপমাত্রা কমেছে। এতে ঢাকাসহ সারা দেশেই শীতার্ত অনুভূতি বেড়েছে। এ সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে বলে জানান আবহাওয়া বিশ্লেষকেরা।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, কুয়াশা বেশি থাকলে দিনের তাপমাত্রা কমে যায়। তবে রাতের তাপমাত্রা সেই তুলনায় কম হ্রাস পায়। এই কুয়াশাভাব কাটতে আরও কয়েক দিন লাগতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই মাসে শৈত্যপ্রবাহ হবে। তবে এল নিনোর প্রভাবে এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান জানান, পৌষের এই সময়ে দেশের উত্তর, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং কোথাও হালকা মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

ঘন কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে ৮ ঘণ্টা বিমান চলাচল বিঘ্নিত হয়। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইমলাম জানান, কুয়াশার কারণে রাত ১২টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল করতে পারেনি। ৯টায় ফ্লাইট অবতরণ শুরু হয়। ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত থাকা অবস্থায় ৬টি ফ্লাইট চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাঠানো হয়েছে। ৯টার পর চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ফ্লাইটগুলো ঢাকায় আসা শুরু করে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts