দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার যে ভয়টা ছিল সেটা হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানা।
সিইসি বলেন, একটা ভালো খবর হলো নির্বাচনী সহিংসতায় কোনো মৃত্যু ঘটেনি। এছাড়া ছোট ছোট কিছু আহত হয়েও থাকতে পার, যার খবর আমাদের কাছে আসেনি। তবে সংবাদ এসেছে ভোট কারচুপি ও সিল মারা চেষ্টা হয়েছে। বিভিন্ন টিভি-চ্যানেলে সেগুলো প্রকাশিত হয়েছে।
৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়েছে তিনি বলেন, ভোটের সংখ্যা হয়তো বাড়তেও পাড়ে। তাই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভোটার উপস্থিতি আরও কম হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কারণ, বড় একটি পক্ষ নির্বাচনে না এসে পরোক্ষ বর্জনের ঘোষণা দেয়। এছাড়া কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ হয়েছে, শুক্রবার রাতে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ হয়েছে। এসব দেখে শঙ্কা জাগতে পারে নির্বাচনটা সহিংস হবে। তবে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাধীনভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রয়োগ করেছেন।
সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না জানিয়ে সিইসি বলেন, যতটা সম্ভব নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করা আমরা সে চেষ্টা করেছি। প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। অনেকের দাবি ছিল ব্যালটপেপার ভোটের দিন পাঠানোর। তাই আমরাও ভোটের দিন ভোরে ব্যালট পেপার পাঠাই।
টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, যমুনা টিভিতে একরকম ভাষ্য ছিল আবার ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে আরেকম ভাষ্য দেখা যা। আবার অন্য টিভিগুলোতে কাছাকাছি ভাষ্য পেয়েছি। যারা প্রার্থী নন সেসব টিভিগুলোর তথ্য কাছাকাছি ছিল। তারা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়েছে। আমরাও আস্থার সঙ্গে সেগুলো গ্রহণ করেছি।