সুরিন্দর সুরাইয়া
বিশিষ্ট কবি, ছড়াকার, গল্পকার, উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, নাট্যকার, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক, সাহিত্য সম্পাদক, মডেল এবং অসংখ্য শিশুতোষ গ্রন্থের রচয়িতা কথাসাহিত্যিক সিদ্ধার্থ সিংহের হাতে গত ৬ জানুয়ারি তুলে দেওয়া হল কাজী নজরুল ইসলাম পুরস্কার।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যাকে সব্যসাচী লেখক বলতেন, কথাসাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী এবং কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন, সেই সিদ্ধার্থ সিংহের এ বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় ২৮টি এবং বাংলাদেশের একুশে গ্রন্থমেলায় ৯টি বই প্রকাশ উপলক্ষে এক বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উলুবেরিয়া এক নম্বর ভিডিও অফিস।
তাদের সুবিশাল প্রেক্ষাগৃহে নক্ষত্রখচিত বর্ণাঢ্য সন্ধ্যায় এই পুরস্কার তুলে দেন উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক মানস কুমার মণ্ডল, উলুবেরিয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও এইচ এম সিরাজুল হক এবং সেখ নুরুল হুদা।
এ ছাড়াও ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন মিদ্দে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমদাদ হোসেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহ-সচিব রাজীব শ্রাবণ, উলুবেরিয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অতীন্দ্রশেখর প্রামাণিক-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং নানান স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা।
এই পুরস্কার প্রদানের সাক্ষী থাকতে এসেছিলেন পুরুলিয়া, মালদা, আসাম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, বীরভূম, কোচবিহার, পূর্ব বর্ধমান, বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের কবি-সাহিত্যিক এবং প্রাবন্ধিকেরা।
কবিতা, গল্প, নাটক, প্রবন্ধ এবং শিশুতোষ গ্রন্থ মিলিয়ে এ পর্যন্ত সিদ্ধার্থ সিংহের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩২৯টি। বেশিরভাগ বই ৪০০ পাতার ওপর।
একক এবং যৌথ ভাবে সাতশো ঊনআশিটি সংকলন সম্পাদনা করেছেন লীলা মজুমদার, রমাপদ চৌধুরী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মহাশ্বেতা দেবী, শংকর, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, নবনীতা দেবসেন, অরুণ কুমার চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সিংহ, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে।
আনন্দবাজার পত্রিকার এই প্রাক্তনী ইতিমধ্যেই পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ শিশুসাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, সন্তোষকুমার ঘোষ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, নতুন গতি পুরস্কার, ড্রিম লাইট অ্যাওয়ার্ড, কমলকুমার মজুমদার জন্মশতবর্ষ স্মারক সম্মান, সামসুল হক স্মৃতি পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের ‘শ্রেষ্ঠ কবি’ এবং ১৪১৮ সালের ‘শ্রেষ্ঠ গল্পকার’-এর শিরোপা।
এ ছাড়া ২০১২ সালে ‘বঙ্গ শিরোমণি’ সম্মানে ভূষিত এবং ২০২০ সালে ‘সাহিত্য সম্রাট’ উপাধিতে সম্মানিত সেই মুকুটে আরও একটি পালক সংযোজিত হল- কাজী নজরুল ইসলাম পুরস্কার।