কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে হারিয়ে যাওয়া ৮ শিশু উদ্ধার

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির নিয়োজিত কর্মীরা। দেশের নানা প্রান্ত সমুদ্রসৈকতে এসে হারিয়ে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধার ও তথ্য সরবরাহ করে নিয়মিত পর্যটক সেবা করে যাচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার সৈকতের ব্যস্ততম কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্ট থেকে বেড়াতে এসে হারিয়ে যাওয়া ৮ শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিচকর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার মো. বেলাল হোসেন।

উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো- চট্টগ্রাম হালিশহরের শহিদুল ইসলামের মেয়ে মিফতাহুল জান্নাত (৫), ঢাকা ডেমরার মাসুদ পারভেজের ছেলে তাওসিফ (৪), ফেনী ছাগলনাইয়ার ইমাম হোসেন জাহেদের মেয়ে কাসফিয়া (৩), রাজশাহীর আশরাফ হোসেনের ছেলে সাফিউল্লাহ সাফি (১০), চট্টগ্রামের মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে রুশমি (৪)। অন্য ৩ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নিজের শিশু কন্যাকে ফিরে ফিরে পেয়ে ইমাম হোসেন জাহেদ বলেন, ‘আমাদের অসাবধানতার কারণে ৩ বছরের মেয়েটি হারিয়ে যায়। অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। পরে বিচকর্মীদের সহায়তায় আমার মেয়েকে ফিরে পাই। লাখ লাখ পর্যটকের ভিড়ে পর্যটকদের শিশু-সন্তান হারিয়ে গেলেও বিচকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতায় সন্তানকে খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারটি অত্যন্ত ভালো লেগেছে। এজন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটিসহ বিচকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।’

সহকারী সুপারভাইজার মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার সৈকতের তিনটি পয়েন্ট থেকে হারিয়ে যাওয়া ৮ শিশু উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিভাবকদের অসাবধানতা বশত এরকম প্রতিদিন অহরহ ঘটনা ঘটে। তবে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া শিশু উদ্ধারের তুলনামূলক সংখ্যা বেশি ছিলো।’

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে এসে শিশু-কিশোরসহ পর্যটকদের মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যায়। সেগুলো উদ্ধারের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এবং নানান তথ্য উপাত্ত দিয়ে রাতদিন পরিশ্রম করে আমরা পর্যটকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও গোসল করতে গিয়ে পানিতে ভেসে যায় অনেকে। লাইফগার্ডের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার কাজে আমরা তৎপর থাকি।’

Print Friendly

Related Posts