বিডি মেট্রোনিউজ ॥ ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় পর ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, এতে করে বিশ্বের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
গতবছর জুলেইয়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছায় পরাশক্তিগুলো। এরপর আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ ) শনিবার চুক্তির সব শর্তই তেহরান ঠিকঠাকমত পূরণ করছে বলে নিশ্চিত করার পর নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়।
ইরানের এই পরমাণু কর্মসূচি নিয়েই বিরোধের কারণে এতগুলো বছর ধরে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ এর নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল দেশটি।
ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যসহ অন্যান্য সব নিষেধাজ্ঞাই তুলে নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে পরমাণু সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞাসহ ব্যাংকিং নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছে। জাতিসংঘ ইরানে আরোপিত পরমাণু প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাত সংশ্লিষ্ট কিছু নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানির জব্দ করা সম্পদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিয়েছে।
রুহানি বলেন, বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তিতে সবাই খুশী। কেবল যুদ্ধবাজরা এতে খুশী নয়। যেমন ইসরায়েল এবং মার্কিন কংগ্রেসের কট্টরপন্থিরা।
রোববার সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেন, “আমরা ইরানিরা বিশ্বের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছি। এখন সব ধরনের শত্রুতা, সন্দেহ, চক্রান্তকে পিছনে ফেলে বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটেছে।
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া ইরানের অর্থনীতির জন্য এক ‘মোড় পরিবর্তন’ বলে অভিহিত করেন তিনি। তেল রাজস্বের ওপর ইরানের নির্ভরশীলতা কমাতে হবে বলেও রুহানি উল্লেখ করেন।
বেশিরভাগ পশ্চিমা সরকার ইরানে নিষেধাজ্ঞার অবসানকে স্বাগত জানালেও ইসরায়েলের অভিযোগ, তেহরান এখনো পারমাণবিক বোমা তৈরি চেষ্টা চালাচ্ছে।
তবে আইএইএ পরমাণু চুক্তির আওতায় থাকা শর্তাবলী তেহরান পূরণ করেছে বলেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে এবং ইইউ এর বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মঘারিনি বলেছেন, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় তা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সহায়ক হবে।