পদ্মসেতু ও বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের এক গর্বিত প্রকৌশলী

ইঞ্জিনিয়ার আরিফ চৌধুরী শুভ

একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোলমডেল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমরা বিশ্বের কাছে রোলমডেলের উদাহরণ হতে পেরেছি। এভাবে এগোতে থাকলে স্বাধীনতার শতবর্ষের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবে। বিশ্ব কেন বাংলাদেশকে রোলমডেল ভাববে সে তর্কের বহু সমীকরণ, কিন্তু কৃষি নির্ভর বাংলাদেশ থেকে রেমিটেন্স নির্ভর বাংলাদেশ এখন আত্মনির্ভরশীলতার খুঁটিতে দন্ডায়মান। পদ্মাসেতু তার অন্যতম উদাহরণ।

শুধু অর্থনৈতিক ভাবেই এগোয়নি বাংলাদেশ, যোগাযোগ ব্যবস্থার বিস্ময়কর সাফল্য এশিয়াকে ভাবিয়েছে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূখন্ডকে নিয়ে। নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয়বহুল পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং জগতে উদাহরণ সৃষ্টি করলো বাংলাদেশ। আজ এটা আমাদের কাছে শুধুমাত্র একটি সেতুই নয়, একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের শক্তি সামর্থ্য আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের বহি:প্রকাশ। বিশ্বের প্রথম সারির ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ও কনস্ট্রাকশন ফার্মগুলোতে পদ্মাসেতু নিয়ে গবেষণা করবে বলে এরই মধ্যে গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। আমরাও চাই বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে বহি:বিশ্ব গবেষণা করুক। পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে জাতীয় জিডিপির ১.২৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম আঞ্চলিক জিডিপির ২.৩০ শতাংশ বাড়বে বলেও আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এতদিন তলাবিহীন ঝুড়ির যে তকমা বাংলাদেশকে দেয়া হতো; পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে সে তকমা মিথ্যা প্রমাণ করে দিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বিশ্বের রোলমডেল হওয়ার পেছনে যারা স্বার্থহীন ভাবে অবদান রেখেছেন, তাদের কতজনকে আমরা চিনি?ইতিমধ্যে অনেককে হারিয়েছি আর যে কয়জন বেঁচে আছেন, তাদের অন্যতম একজন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. এম ফিরোজ আহমেদ। ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’ ডিজাইন ও বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অন্যতম সদস্য তিনি।

আজ পদ্মাসেতু নিয়ে আমরা যতটা মাতামাতি করছি, ৫ বছর আগে ঠিক ততটাই অনিশ্চিত ছিলাম পদ্মাসেতু হওয়া নিয়ে। পদ্মাসেতুতে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক যখন সেতু নির্মাণের জন্য অর্থায়ন থেকে সরে গেল, তখন অন্যান্য বিদেশী দাঁতা গোষ্ঠিও এক এক করে প্রকল্প থেকে সরিয়ে নিলেন নিজেদের। প্রকল্পে কর্মরত বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বিদেশী বিশেষজ্ঞগণও চলে গেলেন। অনেক চেষ্টা করেও সরকার যখন বিদেশী দাতাগোষ্টিকে এই প্রকল্পে আর ফেরাতে পারেননি, তখন পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন ও বিশেষজ্ঞ সংকটে পড়ে সরকার। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তাঁর বাসায় এ প্রকল্পে কর্মরত দেশি বিশেষজ্ঞ প্যানেল সদস্যদের নিয়ে একটা সভা আহবান করেন। ড. জামিলুর রেজার চৌধুরী ও ড. ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্যগণ অর্থমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, সরকার অর্থের জোগান দিতে পারলে দেশি এক্সপার্ট দিয়েই পদ্মাসেতু তৈরি করা হবে। ফিরোজ আহমেদ সেই সভায় মন্ত্রীকে দৃঢ়তার সাথে বলেন, প্রয়োজনে লাক্সারি দ্রব্য আমদানি বন্ধ করে হলেও পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করতে হবে; কারণ প্রকল্পটি বাংলাদেশের মানসম্মানের বিষয়ে দাঁড়িয়েছে।

অবশেষে বঙ্গবন্ধু কন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থায়নে নিজেদের প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা এই রকম একটি জটিল প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিলেন। পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান। এই প্রকল্প বাস্তবায়নকালে যেসকল সমস্যা দেখা দিয়েছে, বিদেশের নামকরা কনসালটিং ফার্মগুলোও তার সমাধান দিতে পারেনি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সব সমস্যার সমাধান এসেছে যা ভবিষ্যতে কনস্ট্রাকশন টেকনোলজিতে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে।পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে যে উদাহরণ সৃষ্টি করলো আজ, সেটির মেগনেট পিলার বা কারিগর যদি বলি, তাহলে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ও ড. এম ফিরোজ আহমেদের নামটি সবার আগে আসবে। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চেয়ারম্যান ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ এপ্রিল এবং আরো একজন সদস্য ড. আলমগীর মুজিবুল হক মারা গেছেন। ফলে এই প্রকল্পের কাজ ফিরোজ আহমেদসহ আরো তিনজন বিশেষজ্ঞ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এখনো।

একাধারে শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী ড. ফিরোজ আহমেদ বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার ক্ষণিকটা লিখতে চাই। বয়সের ভার শরীরে দৃশ্যমান হলেও বাংলাদেশ নিয়ে এখনো তাঁর আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই। তাঁর ভাষায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় যে বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম, সেই পথে হাঁটতে হাঁটতে আমরা এখন দৌঁড়াচ্ছি। বুয়েটের শ্রেণিকক্ষে যাদের পড়িয়েছি, বিশ্বের বড়বড় প্রতিষ্ঠানে তারা আজ বাংলাদেশের গর্ব। পদ্মাসেতুতে আমার ছাত্ররা আমার সাথে কাজ করেছে। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল শ্রেণিকক্ষে আমি এমন একজন শিক্ষকের সরাসরি শিক্ষার্থী হবার। খুব কাছে যাওয়ার সুযোগে কিঞ্চিত জানা হলো তাঁর সম্পর্কে। তিনি বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের একজন গবেষকই নন, তিনি বাংলাদেশের প্রকৌশল জগতের অন্যতম শিক্ষক। শুধু পদ্মা সেতু নয়, দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে পৃথিবীর নামকরা প্রকৌশলীদের নিয়ে গঠিত ‘আর্ন্তজাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল’এর সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ভাইস–চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের বিল্ডিং সার্ভিসেস সেকশনের কনভেইনারের দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘদিন। ২০এর অধিক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পয়োনিষ্কাশন, স্যানিটেশন সফলতায় দেশবরেণ্য এই প্রকৌশলীর অবদান চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং স্নাতোকত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবতীর্তে যুক্তরাজ্যের University of Strathclyde, Glasgow থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশে এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে তিনি এদেশে প্রথম পরিবেশ নিয়ে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশে কর্মরত প্রায় সকল পরিবেশ প্রকৌশলই তাঁর ছাত্র।

১৯৬৯ সালে বুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করে একই বিভাগে প্রফেসর বিভাগীয় প্রধান এবং অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ১৯১১ সালে বুয়েট থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।তারপর ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

ড. এম ফিরোজ আহমেদের গবেষণায় শুধু বাংলাদেশই লাভবান হয়নি; বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হচ্ছে তার লেখা বিখ্যাত বইগুলো। সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে ২০ অধিক বই রচনা ও সম্পাদনা করেছেন তিনি যা বিশ্বব্যাপী ১৫৫ টি লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত রয়েছে বর্তমানে। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় বই হলো Water Supply & Sanitation Rural and Low Income Urban Communities. তাছাড়া দক্ষিণ এবং পূর্ব-এশীয় দেশগুলিতে ভূগর্ভস্থ পানির আর্সেনিক দূষণের নানা দিক নিয়ে তাঁর লেখা Arsenic Contamination of Groundwater in South and East Asian Countries’ বইটি বেশ জনপ্রিয় এখনো। বিশ্বস্বাস্থ সংস্থা (WHO) কর্তৃক প্রকাশিত ‘Guidelines for Drinking-water Quality’ বইটিকে জনস্বাস্থ প্রকৌশলীদের সমসাময়িক বাইবেল বলা হয়। যে বইতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রফেসর আহমেদের যতেষ্ট অবদান রয়েছে।

পৃথিবীর শীর্ষ সাইন্স জার্নালে তাঁর ৩টি প্রবন্ধসহ মোট ১৬০টি প্রকাশনা আছে, যা ইতিমধ্যে ৭ সহস্রাধিক উদ্ধৃতি (সাইটেশন) রয়েছে। আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি (এসিএস) প্রকাশিত পেরিউডিক টেবিলে আর্সেনিক মৌলে তার বায়োগ্রাফি প্রকাশের মাধ্যমে আর্সেনিক গবেষণায় শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানী হিসাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেন প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ।

বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের জন্য মাস্টার প্লান তৈরিতে বিশেষজ্ঞ হিসাবেও কাজ করেছিলেন তিনি। এই মাস্টার প্লান অনুসরণ করে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। এ সব আশ্রয়কেন্দ্রের কারণে প্রাকৃতিক দুযোর্গের হাত থেকে লক্ষলক্ষ জীবন রক্ষা পেয়েছে। বিশ্বে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা আজ পৃথিবী স্বীকৃত।

বাংলাদেশের উঁচু দালান নির্মাণের অন্যতম পথিকৃৎ ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. ফিরোজ আহমেদ ও ড. সোহরাবউদ্দিন আহমদ মিলে তিনটি উঁচু ভবনের ডিজাইন করেছিলেন। তাদের করা বাংলাদেশের প্রথম ২২ তলা বিল্ডিং এর ডিজাইন এদেশের প্রকৌশলীদের সুউচ্চ বিল্ডিং ডিজাইনে আস্থা জুগিয়েছে।

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও ড. ফিরোজ আহমেদের অবদান কম নয়। ভূগর্ভস্থ জলের আর্সেনিক দূষণের প্রক্রিয়া বোঝার ক্ষেত্রে প্রফেসর আহমেদের একটি গবেষণা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিজ্ঞানীদের মধ্যে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম সারির পরিবেশ বিজ্ঞানীদের সাথে নিয়ে প্রফেসর আহমেদ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ জল নিশ্চিত করার জন্য একটি নীতিপত্র তৈরি করেছিলেন যা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানি সর্বরাহে সহায়তা করেছে।

ড. এম ফিরোজ আহমেদ দক্ষিণ এশিয়ার স্যানিটেশন আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা। যার শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের একটি কনফারেন্সের মাধ্যমে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে অনুষ্ঠিত উক্ত কনফারেন্সে পরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশের বিশেজ্ঞ ডেলিগেটে হিসেবে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন।এ আন্দোলনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এসডিজিতে অধিক অগ্রগতি হয় এবং বাংলাদেশে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ শুন্যের কোটায় নেমে আসে।

ড. ফিরোজ আহমেদ শিক্ষকতা ও গবেষণায় দক্ষতার স্বীকৃতি হিসাবে ১৯৯৯ সালে বুয়েট থেকে ড. রশিদ স্মৃতি স্বর্ণপদক, ২০০৪ সালে জাতীয় প্রকৌশল পেশায় অবদানের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ কর্তৃক আইইবি স্বর্ণপদক এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নে অবদানের জন্য ২০০৭ সালে ড. এমও গানি স্মৃতি স্বর্ণপদক লাভ করেন। বুয়েট-এমআইটি গবেষণা গ্রুপ ভূগর্ভস্থ জলের আর্সেনিক দূষণের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রিন্স সুলতান বিন আবদুল আজিজ পুরস্কার লাভ করে। তিনি এই গ্রুপের বুয়েট সমন্বয়ক ছিলেন। বিজ্ঞান গবেষণায় ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য এশিয়ার ‘এডুকেশন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’অর্জন করেছেন ২০১৬ সালে।

অধ্যাপক আহমেদ বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির এবং ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর একজন ফেলো। এছাড়াও তিনি আমেরিকান সোসাইটি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স, ইন্ডিয়ান এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব সাইন্স এবং অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পেশাদার সংস্থা এবং সমিতির আজীবন সদস্য।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে প্রফেসর আহমেদের অবদান অপরিসীম। বিশ্বের ২৮টি দেশের পরিবেশ বিষয়ক আন্তজার্তিক ইভেন্টে ড. আহমেদকে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে ৯০টি এবং দেশে ৭৫টি গুরুত্বপূর্ণ লেকচার প্রদান করেন। এভাবে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে গেছেন এই প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ। ১৯৪৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া সেই ছোট্ট শিশুটি এভাবেই হয়ে উঠেন জাতীয় শিক্ষক। আজ তার ৭৬তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রকৌশলী ড. ফিরোজ আহমেদ স্যার। বাংলাদেশ আপনার কাছে ঋণী। আপনি দীর্ঘজীবী হোন।

ইঞ্জিনিয়ার আরিফ চৌধুরী শুভ: প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি
জাতীয় পাঠাগার আন্দোলন-জাপাআ

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts