মুসাব্বির উদ্দিন
ডিপ্রেশন শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি পরিচিত আছি। ডিপ্রেশন শব্দটির বাংলার আভিধানিক অর্থ হলো বিষন্নতা। ধরে নিন আপনি এক অফিসের কর্মকর্তা। আপনার উপর অনেক বড় কাজের চাপ এসে গেছে। আপনাকে এসব কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে হবে। কিন্তু কীভাবে শেষ করবেন সেটা আপনি পরিকল্পনা করে নিতে পারছেন না। সবকিছু পরিকল্পনা করার পর আপনি কাজ শেষ করতে পারেন না। পরে সেটা নিয়ে আপনাকে কথা শুনতে হলো। পরে আপনার কাজ করার মনোবল নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে বিষন্নতা বা ডিপ্রেশন জন্ম হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিষন্নতা আসতে পারে। যেমন: পরিবার থেকে, সমাজ থেকে, প্রেম থেকে, পড়ালেখার মাধ্যমে হতে পারে ইত্যাদি।
ডিপ্রেশন বিষয়টি কীভাবে এসেছে সেটা নিয়ে জানব:
১৯ শতকের দিকে জার্মান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ “Emil Kraepelin” ডিপ্রেশন বিষয়টি আবিষ্কার করেছেন এবং এটা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার ভাষ্য মতে, ডিপ্রেশনকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথমটি হলো ম্যানিক ডিপ্রেশন এবং দ্বিতীয়টি হলো ডিমেনশিয়া প্রিকক্স।
বাংলাদেশে ৪% জনগণ ডিপ্রেশনে আছে।
ডিপ্রেশন মানুষের মধ্যে যদি চলতে থাকলে এর পরিনতি খুবই ভয়াবহ হতে পারে।
পরিনতি:
১) খারাপ বা কুপথ বেছে নিবে।
২) সবসময় আশাহীন থাকবে।
৩) নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস কমে যাবে।
৪) মাদকের আশ্রয় নিবে।
৫) অবশেষে আত্নহত্যা।
তবে এর থেকে বাঁচার উপায় আছে।
বাঁচার উপায়-
১) জীবনের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
২) পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
৩) নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে।
৪) কোনো মনোরঞ্জন বা প্রাকৃতিকমূলক জায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন।
৫) কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরর্মাশ নিতে পারেন।
এতে ডিপ্রেশন অনেকখানি কমে যাবে।
আরেকটি কথা, ডিপ্রেশন কোনো রোগ না, এটা আসলে মানসিক পরিস্থিতি।