জাফর ওয়াজেদ
৩ই মার্চ ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সম্মানীত শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।
স্বাধীনতার ইশতেহার পত্রটি তৈরি করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগিনা ও সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী শ্রদ্ধেয় শেখ শহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনের বা কোন এক ব্যক্তির ডাকে হঠাৎ করে স্বাধীন হয়ে যায়নি। বরং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের বিনিময় বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালে সর্বপ্রথম ভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন এবং সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১১ই মার্চ ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। সেই শুরু বাংলাদেশের স্বাধীনতার। সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধুমাত্র মার্চেই শুরু হয়নি, এটির সূচনা হয়েছে ১৯৪৭ সালের ঠিক পরপরই, যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যে বাঙালি জাতির প্রকৃত মুক্তি লাভ হয়নি। শুধু পাকিস্তান নামে একটি অপরিপক্ক রাষ্ট্রের জন্ম ছাড়া।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধীরে ধীরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য তৈরি করতে থাকেন।
জাফর ওয়াজেদ: বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক, সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে একুশে পদক প্রাপ্ত।
ছবি: শেখ শহিদুল ইসলাম