সময়ের সঠিক পদক্ষেপ হোক এবারের বাজেট

রায়হান আহমেদ তপাদার

 

স্বাধীনতার ৫১ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছি। আমাদের প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে মাথাপিছু আয়। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬ শতাংশের ওপরে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার এ দেশে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যায়। খাদ্যের অভাবে মারা যাওয়ার ঘটনা এখন আর আমাদের দেশে ঘটছে না।জনসংখ্যা, সম্পদ এবং শিক্ষাকে ঘিরে আবর্তিত হয় দেশের অর্থনীতি দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন গুণগত-মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার। সম্পদের অসম বণ্টন দূর হবে না যথাযথ শিক্ষার আলো ছাড়া। বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থার কথা যতই বলা হোক না কেন, সমাজ থেকে বৈষম্য দূরীভূত তো হবেই না বরং আরও বাড়বে। শিক্ষার সবস্তরে সমান প্রবেশাধিকারের সুযোগ সৃষ্টি, গ্রাম ও শহরের মধ্যে শিক্ষার বৈষম্য দূরীকরণ এবং এর গুণগতমান উন্নয়নের বিষয়টির ওপর জোর দিতে হবে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন যতই হচ্ছে, বৈষম্য ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, অতি দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হচ্ছে। আমাদের উন্নয়নটা অঞ্চলভিত্তিক ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে না। যাইহোক ফিরে আসি মূল আলোচনায়। বাজেট হলো নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে একটা সময়কালের রাষ্ট্রের আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনা। বাজেট প্রণয়নের পেছনে প্রধানত রাজনৈতিক দর্শন থাকে। সেই রাজনৈতিক দর্শনের ওপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। আর সেই নীতিমালার ওপর নির্ভর করে প্রণয়ন করা হয় বাজেট। সাধারণত বাজেটের বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকে।

যেমন: সম্পদের দক্ষ ব্যবহার, সম্পদের পুনর্বণ্টন, আর্থিক স্থিতিশীলতা, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক বৈষম্যদূরীকরণ ইত্যদি। দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে এসবের সঠিক মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দা-পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত পৃথিবীজুড়ে নব্য ক্লাসিক্যালদের দৌরাত্ম্য বেশি হলেও মন্দা-পরবর্তী সময়ে সরকারের ভূমিকা ক্রমেই জোরালো হয়ে পড়ছে। তবে বিশ্বব্যাপী যে বিষয়গুলো এখনও অমীমাংসিত, তার মধ্যে বোধ করি সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে-একটি অর্থনীতিতে সরকারের ভূমিকা কী? অর্থনীতির একটি এজেন্ট হিসেবে সরকার দেশের অর্থনীতিতে কতটুকু হস্তক্ষেপ করবে, তা একেক আয়ের দেশের জন্য একেক রকম এবং এখনও সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়। সরকার আমার-আপনার বেডরুমের মশারি টাঙিয়ে দেবে কি-না এটা সত্যিকার অর্থেই একটি একাডেমিক বিষয়। এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারের কাজের পরিধি ও অর্থনীতির এগিয়ে চলায় তার হস্তক্ষেপ করার ধরনও বদলে যাচ্ছে। এক দশক আগের সরকারের ভূমিকা আজকের সরকারের চেয়ে অবশ্যই ভিন্নতর হবে। প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার এগিয়ে যাওয়া; জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রগুলোর অনিবার্য সমন্বয় এবং সর্বোপরি মানুষের চাহিদার প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের ফলে সরকারের ভূমিকা ক্রমশ পরিবর্তিত হয়ে পড়ছে। বাংলা- দেশের অর্থনীতি প্রধানত ভোগতাড়িত। যে কোনো কারণে ভোগের চাহিদা হ্রাস পেলে অর্থনীতির আকারও ছোট হয়ে যায়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য সবচাইতে বড় বিপদ হলো মূল্যস্ম্ফীতি। সরকারি হিসাবে বর্তমানে মূল্যস্ম্ফীতির হার পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ। অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ এই হিসাবের সঙ্গে একমত হতে পারেননি। তাঁদের কাছে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য হলো বাজারদর। একটি জাতীয় দৈনিকের শিরোনাম ‘কষ্ট বাড়ছে গরিব ও মধ্যবিত্তের’। এখন শুধু বাংলাদেশেই নয়; মূল্যস্ম্ফীতিতে ভুগছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপাল। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য মূল্যস্ম্ফীতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

মূল্যস্ম্ফীতির নানা রকম প্রকরণ আছে। বাংলাদেশ রপ্তানির চাইতে বেশি আমদানি করে। ফলে চলতি হিসাবে বাংলাদেশ ঘাটতির মধ্যে রয়েছে। বিদেশে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সেই পণ্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করলে দেশের মূল্যস্তরের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে। এ রকম মূল্যস্ম্ফীতিকে বলা হয় আমদানীকৃত মূল্যস্ম্ফীতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মূল্যস্ম্ফীতির হার ডাবল ডিজিট। অর্থাৎ দশ থেকে বার শতাংশ হবে।

দেখা যাচ্ছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিপিডির কর্মকর্তাদের হিসাব-নিকাশ এবং অনুমানে পার্থক্য রয়েছে। মূল্যস্ম্ফীতি যে কোনো সরকারের জন্য মাথাব্যথার কারণ। মূল্যস্ম্ফীতির সঠিক হিসাব পাওয়া না গেলে মূল্যস্ম্ফীতি-বিরোধী নীতি-কৌশল প্রণয়ন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের কৃষক জনসংখ্যার একটি বড় অংশ। এই কৃষকরা গোটা জাতির জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন। বাংলাদেশের কৃষি বর্তমানে বহুমুখী হয়ে উঠেছে। কৃষকরা শুধু খাদ্যশস্য যেমন ধান ও গমই উৎপাদন করেন না; শাক-সবজি, নানা রকমের ফল, মৎস্য এবং গবাদিপশু পালনেও জড়িয়ে আছেন। বাংলাদেশের মতো একটি দেশ যেটি অত্যন্ত জনঘন সে রকম একটি দেশে ভূমি এবং মানুষের অনুপাত অত্যন্ত সুবিধাহীন। এদেশের কৃষকদের একটি বড় অংশ ক্ষুদ্র কৃষক। তাঁরা মাত্র দশমিক ৫ শতাংশ বা তারও কম পরিমাণ জমির ওপর ভিত্তি করে জীবনযাত্রা নির্বাহ করে যাচ্ছেন। হাল আমলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা ক্ষুদ্র ভূমিখণ্ড থেকে অকল্পনীয় উৎপাদনে সফল হচ্ছেন। কৃষককে বৈরী প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে হয়। তাঁদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই পাকা ফসলে কীটপতঙ্গের আক্রমণ ঘটে। প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াইয়ে এই সাহসী কৃষকরা পিছপা হন না। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এসব কৃষক, যাঁরা আমাদের অন্নের জোগান দেন তাঁদের স্বার্থের কথা আমরা ভাবতে চাই না।

কৃষকদের মধ্যে তাঁদের নিজস্ব সংগঠন নেই বললেই চলে পাকিস্তান আমলে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে কৃষক সমিতি গড়ে উঠেছিল। আজ সেই কৃষক সমিতির তেমন কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। কিছু বাম সংগঠন কৃষক সমিতি গড়ে তোলায় ব্রতী হলেও সাফল্য খুবই সামান্য। কিন্তু এসব সংগঠন কৃষকদের নিয়ে সামান্যই ভাবে। কৃষক সংগঠন রাখার উদ্দেশ্য হলো ভোটের রাজনীতিতে ব্যবহার। বাংলাদেশের কৃষকরা এখন মারাত্মকভাবে অসংগতিতে। তাঁরা তাঁদের কণ্ঠস্বর শ্রুত হতে কোনো মাধ্যমে খুঁজে পান না। অথচ এমন বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজন ছিল বিশাল একটি সংগঠন। এ ক্ষেত্রেও সমস্যা আছে। কৃষক তাঁর ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না। কৃষক উৎপাদন উপকরণ কিনতে গিয়ে নানা ধরনের অপকর্মের শিকার হন। এসব কারণে কৃষকদের কণ্ঠস্বর দেশবাসীর কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরতে প্রয়োজন একটি কৃষক সংগঠন এবং কৃষকদের একটি শক্তিশালী লবি। মাত্র কয়েক মাস হলো ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশের কৃষকরা মহাসড়ক রুদ্ধ করে দিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে কৃষকরা তাঁদের দাবি আদায়ে সক্ষম হন। এই আন্দোলন সূচিত হয়েছিল কৃষি ও কৃষকসংক্রান্ত আইন পাস নিয়ে।

বাংলাদেশে যে বাজেট পাস করা হয় তা কীভাবে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং দরিদ্র মানুষের ওপর ধনীদের শোষণ কীভাবে জারি থাকে, তার প্রকাশ তেমন আমরা দেখিনি। বাংলাদেশে এখন যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনে বাজেটসহ বিভিন্ন সরকারি নীতি-কৌশল কীভাবে কাজ করছে সে সম্পর্কে কোনো গবেষণা হচ্ছে না। তাহলে কি বলতে হবে, পাশ্চাত্যের উচ্চশিক্ষা অর্জনকারী আমাদের অর্থনীতিবিদরা এই ধনিক গোষ্ঠীর সঙ্গে কি একটা বন্ধনে আটকা পড়েছেন, যে কারণে গরিব মানুষদের স্বার্থসংশ্নিষ্ট বিষয়ে তাঁরা উল্লেখযোগ্য কোনো গবেষণা করেননি। দুই হাজার ষোল সালের আয় ও ব্যয় জরিপ থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ গৃহস্থালির আয় সর্বনিম্ন পাঁচ শতাংশের আয়ের একশ তেইশ গুণ।

বৈষম্যটি সামাজিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। এমনকি ধনিক শ্রেণিরও স্বার্থের অনুকূল নয়। যখন একটি দেশের আয় একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর আয়ের মধ্যে কেন্দ্রীভূত হয় তখন দেশের বাজারটি অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে দেশীয় বাজারও সংকুচিত হয় এবং দেশীয় উদ্যোক্তাদের তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারে সংকুচিত চাহিদা মোকাবিলা করতে হয়। আসন্ন বাজেটে যেখানে মূল্যস্ম্ফীতির আশঙ্কা দেখা দেবে সেখানেই একে প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এবারের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের মোট পরিমাণ ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা হতে পারে, যা চলতি বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩ কোটি টাকা বেশি। নতুন বাজেটের আকার হবে জিডিপির ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এবারের রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। মোট ঘাটতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের কোনো পূর্বাভাস না পেলেও অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বেশি বরাদ্দ থাকবে। এবারের বাজেট এমন এক সময় প্রণীত ও ঘোষিত হতে যাচ্ছে, যখন সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ফলে জ্বালানি ও খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোসহ সারাবিশ্বে মূল্যস্ম্ফীতি দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ম্ফীতির হার এখন ৮ দশমিক ৩ শতাংশ; ইউরোপের দেশগুলোর গড় মূল্যস্ম্ফীতি ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। রাশিয়ার মূল্যস্ম্ফীতি আরও অনেক বেশি। মূল্যস্ম্ফীতি ছাড়াও কভিড-১৯ এর প্রভাব, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উৎপাদন হ্রাস ও সরবরাহ চেইন বিপর্যস্ত হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে, ২০০৭-০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর এমন সংকট আর দেখা যায়নি।

বাজেটে একটা দেশের সবকিছুই গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তবে, বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে অধিকহারে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আবার শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না। তা যেন সুষ্ঠুভাবে ব্যয় হয়, সেদিকে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে। অপরদিকে সামজিক নিরাপত্তার বিষয়টিও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এর আওতায় যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেদিকেও আমাদের সচেতন দৃষ্টি রাখতে হবে। বাজেট বরাদ্দ এবং এর অপব্যবহার নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা আছে, অনেক বিতর্ক আছে। সেগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এবং কভিড সংক্রমণের কারণে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নানামুখী বিপদের মুখে এবারের বাজেট। তাই বাস্তবতা বোধে বুদ্ধির প্রয়োগে সময়ের সঠিক পদক্ষেপ হোক। বাজেটের সংখ্যাগুলো যতই অনুমান নির্ভর হোক, সেগুলো যুক্তিনির্ভর অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া প্রয়োজন। তথাকথিত বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাজেট’ নয় বরং বাস্তবতার নিরিখে প্রয়োজন, প্রত্যাশা এবং সামর্থ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে এটি করতে হবে। তবে বাজেট তৈরিই শেষ কথা নয়। এর সঠিক বাস্তবায়নও গুরুত্বপূর্ণ।এবং বাজেট বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, সুশাসন, সুদক্ষ জনবল এবং জনগণের সম্পৃক্ততা। এগুলোর সঠিক সম্মিলন না হলে প্রতিবছর বাজেটের অঙ্ক মিললেও মানুষের জীবন-জীবিকার অঙ্ক কখনো মিলবে না।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
raihan567@yahoo.com

Print Friendly

Related Posts