দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ আসন (দিরাই ও শাল্লা) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের ছোট ভাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুর পর আসনটিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্তা।
রোববার বিকেল চারটার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সুনামগঞ্জ সদর আসনের বাইরে এবার আলোচিত নাম ছিল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন তিনি। এর পর থেকেই এলাকায় তাঁকে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।
এ ছাড়া নানা কারণে আলোচিত সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর) এবার বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রতনের বাদ পড়তে পারেন—এমন আলোচনা ছিল স্থানীয় রাজনীতিতে। অবশেষে তা–ই হয়েছে। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা রণজিত চন্দ্র সরকার।
সুনামগঞ্জের অন্য দুটি আসনে পুরোনোরাই বহাল আছেন। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) এবারও আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান ওরফে মানিক আবারও দলের টিকিট পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সুনামগঞ্জে যে নামটি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সেটি হলো মোহাম্মদ সাদিক। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। আজ ওবায়দুল কাদের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করায় সব জল্পনা–কল্পনার অবসান হয়েছে।